স্বর্ণ পাচারের মূলহোতা পুকু মেম্বার আত্মগোপনে..!
নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে বিজিবির অভিযানে প্রায় ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের ২ কেজি ওজনের স্বর্ণের বারসহ নারী পাচারকারীকে আটকের ঘটনায় জড়িত স্বর্ণের মালিক সীমান্ত ইউপি সদস্য পুকু মেম্বার প্রশাসনের ভয়ে আত্মগোপনে চলে গেছে।
তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, আটককৃত স্বর্ণের প্রকৃত মালিক ভারতের বানপুরের চৈতন্য দেবের মাধ্যমে ভারত থেকে মাল এসে গয়েশপুর গ্রামের পশ্চিমপাড়ার দুলো মন্ডলের ছেলে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের সদস্য ইসরাফিল হক পুকু মেম্বার এবং একই গ্রামের মস্ত মন্ডলের ছেলে বড় মিয়ার মাধ্যমে সাপ্লাই হয়। গোপন সূত্রে আরো জানা গেছে, গত ইউপি নির্বাচনের সময় পুকু মেম্বার ও তার দলবল মিলে স্বর্ণের নাম করে পিতল দিয়ে প্রায় ৪০ লাখ টাকা আতা¥সাত করে বলে অভিযোগ আছে। তাছাড়া গত বৃহস্পতিবার বিজিবির হাতে যে পরিমাণ স্বর্ণ আটক হয়েছে, সেই স্বর্ণের বেশির ভাগই আটকের আগে পুকু মেম্বার তার শ্বশুর বাড়ি জীবননগর পৌর শহরের আঁশতলাপাড়ায় রেখেছিলো বলে ও জানা যায়।
এদিকে, পুকু মেম্বারের নেতৃত্বে এই অঞ্চলের মাদক ও চোরাচালানীরা নতুন নতুন অনেক পথ অবলম্বন করে পাচার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। যেমন- অনেক ক্ষেত্রে দেখা যায়, গ্রামের কিছু কৃষকের হাতে একটি প্যাকেট দিয়ে জীবননগর শহরের যে কোন একটি দোকানের ঠিকানায় রেখে দিতে বলা হচ্ছে, আবার অনেক ক্ষেত্রে স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী এবং গ্রামের সাধারণ নারীদের টাকার লোভ দেখিয়ে তাদের মাধ্যমে বিভিন্ন কৌশল অবলম্বন করে বিভিন্ন ধরণের মালামাল পাচার করা হচ্ছে।
জীবননগরের সচেতন ও সমাজের সুশীল ব্যক্তিরা মনে করেন- সীমান্ত এলাকায় বিজিবির সদস্যদের পাশাপাশি পুলিশ প্রশাসনের সদস্যরা যদি একটি তৎপর হয়, তাহলে সীমান্তবর্তী এলাকায় মাদক ও চোরাচালান প্রতিরোধ কার যাবে।
উল্লেখ্য, গত বৃহস্পতিবার জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের শাখারিয় পিচ মোড়ে অভিযান চালিয়ে ৬৭ লাখ টাকা মূল্যের প্রায় ২ কেজি ওজনের স্বর্ণের বারসহ মাবিয়া নামের এক নারীকে আটক করে বিজিবি। পরে জিজ্ঞাসাবাদে উদ্ধারকৃত স্বর্ণের মালিক পুকু মেম্বার বলে জানান ওই নারী। এছাড়া পুকু মেম্বারের নেতৃত্বে একটি চোরাচালান গ্যাং সক্রিয় বলেও জানান ওই নারী।