নিউজ ডেস্ক:
জীবননগরে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলছে বৃহত্তম শিয়ালমারী পশুর হাট। মহামারি করোনাভাইরাসের কারণে জনসমাগন রোধ করার লক্ষে সরকারিভাবে দীর্ঘ তিন মাস বন্ধ থাকার পর গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল থেকে বাজারে উপচে পড়া ভিড় নিয়ে দ্বিতীয় দিনের মতো স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে চলছে চুয়াডাঙ্গা, ঝিনাইদহ, মেহেরপুরসহ বেশ কয়েকটি জেলার বৃহত্তর জীবননগর উপজেলার উথলী ইউনিয়নের শিয়ালমারী পশুর হাট। এ হাটে দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে স্বাস্থ্যবিধি না মেনেই গরুর ব্যাপারী ও চাষিরা গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন পশু বিক্রয় করতে আসছেন। ফলে যেকোনো সময় ভয়াবহভাবে ছড়িয়ে যেতে পারে মহামারি করোনাভাইরাস। ইতিমধ্যেই জীবননগর উপজেলায় বেশ কয়েকজন মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। আর এই ঝুঁকির মধ্যেই শিয়ালমারী পশুর হাট চালু করে দেওয়ায় জনসম্মুখে নানা প্রশ্ন দেখা দিয়েছি।
এদিকে স্থানীয় ব্যক্তিরা বলছেন, সরকার যেখানে গণপরিবহনে চলাচলের জন্য অতিরিক্ত যাত্রী নিতে নিষেধ করছে, সেখানে শিয়ালমারী পশুর হাটে হাজার হাজার মানুষ কীভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকি নিয়ে বাজার পরিচালনা করছে। তা ছাড়া প্রতিনিয়ত জীবননগরে বিভিন্ন স্থান থেকে লোকজনের আনাগোনার ফলে বাড়ছে করোনা রোগীর সংখ্যা। আর এই সময় শিয়ালমারী পশুর হাটটি খুলে দেওয়ায় চরম বিপদে পড়বে সাধারন মানুষ। তাই মহামারি করোনাভাইরাস জীবননগর উপজেলাই ভয়াবহ রুপ নেওয়ার আগেই শিয়ালমারী পশুর হাটটি বন্ধ করে দেওয়ার দাবি জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
শিয়ালমারী বাজার কমিটির সভাপতি ও উথলী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আবুল কালাম আজাদ বলেন, ‘আমি শিয়ালমারী পশুর হাটের সভাপতি। কিন্তু আমি জানি না কীভাবে পশুর হাট চালু হলো। তবে জীবননগরে যেভাবে করোনা রোগী শনাক্ত হচ্ছে, তাতে করে পশুর হাটটি এখন চালু না করায় ভালো ছিল।’
এ বিষয়ে জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এস এম মুনিম লিংকন বলেন, যেহেতু সামনে কোরবানির ঈদ, সে কারণে শিয়ালমারী পশুর হাটটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চালানোর জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। যদি স্বাস্থ্যবিধি না মেনে বাজার পরিচালনা করে, তাহলে বন্ধ করে দেওয়া হবে।