নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে মাতাল ইউপি সদস্য আব্দুলের কাছে যুবলীগ নেতা লাঞ্ছিত হওয়ার অভিযোগ উঠেছে। গত শুক্রবার বিকালে উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের নতুনপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার বিকালে জীবননগর পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতি ফয়সাল ইকবাল নতুনপাড়া গ্রামে বেড়াতে গেলে সীমান্ত ইউনিয়নের মেদিনীপুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল ওরফে চুচুক মেম্বার মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় যুবলীগ নেতা ফয়সালকে গালিগালাজ করে। গালিগালাজ করতে ফয়সাল নিষেধ করলে তাকে ইট দিয়ে মারধর করার চেষ্টা করে। এ সময় সীমান্ত ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি মিল্টন ও গয়েশপুর গ্রামের ওয়ার্ড মেম্বার পুকু তার হাত থেকে ইটটি কেড়ে ফেলে দেয়।
স্থানীয় সূত্রে আরো জানা গেছে, ওই ঘটনার সময় জীবননগর থানার কয়েকজন অফিসার উপস্থিত হলে মাতাল মেম্বার শান্ত হয়। লাঞ্ছিত যুবলীগ নেতার সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আব্দুল মেম্বারের সাথে আমার কোন ঝুটঝামেলা ছিলো না। আমি নতুনপাড়া গ্রামে কাজের জন্য গিয়েছিলাম। একটা দোকানের সামনে দাঁড়াতেই আব্দুল মেম্বার মাতাল অবস্থায় আমাকে গালিগালাজ করতে থাকে এবং আমাকে মারার জন্য ইট তোলে। কি কারণে সে আমার সাথে এ ধরনের আচারণ করলো আমি জানি না। আব্দুল মেম্বারের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, নতুনপাড়া গ্রামে যে ঘটনা ঘটেছিলো সেই ঘটনা আমাদের ভুল বুঝাবুঝির মধ্যে হয়েছিলো। আমরা সকলে জীবননগর নেতাদের কাছে বসে মিটিয়ে ফেলেছি। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, আব্দুল মেম্বারের মাতাল অবস্থায় এর আগেও গোয়ালপাড়া বাজারে সীমান্ত ইউনিয়ন পরিষদের প্যানেল চেয়ারম্যান আ. কাদেরকে মারধর করাসহ একই বাজারের এক ফল ব্যবসায়ীর দোকান ভাঙচুর করেছিলো এবং হরিহরনগর বাজারের এক ব্যবসায়ীকে মারধর করেছিলো।
এদিকে স্থানীয় সুধী মহল অভিযোগ করে বলেন, পুলিশ বিভিন্ন সময়ে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করে। যদি কোন সাধারণ মানুষ প্রকাশ্য তাড়ি বা গাঁজা খেয়ে মাতলামি করে তাহলে তাকে গ্রেফতার করে হাজতে প্রেরণ বা ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জেল জরিমানা প্রদান করে। কিন্তু একজন জনপ্রতিনিধি পুলিশের সামনে প্রায় সময়ই প্রকাশ্য মাতাল অবস্থায় বিভিন্ন স্থানে মাতলামি করে চলেছে কিন্তু তার কোন প্রতিকার হয়না। তাহলে কি মাতাল জনপ্রতিনিধির জন্য আইন ভিন্ন? জীবননগর পৌর যুবলীগের সভাপতি শাহ আলম শরিফুল ইসলাম ছোট বাবুর কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি বলেন, পৌর যুবলীগের সহ-সভাপতির লাঞ্ছিত’র বিষয়টি আমি জানিনা। তাছাড়া এ ঘটনার ব্যপারে আমাকে কেউ কোন কথা বলেনি। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেন, আব্দুল মেম্বার এলাকায় একজন চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী হিসাবে পরিচিত। তাছাড়া সে ক্ষমতাশীন দলের হওয়ায় প্রশাসনের চোখে ধুলো দিয়ে সে ধরাকে সরাঙ্গান মনে করছে।