নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে এক বৃদ্ধ প্রতিবন্ধীর জমি জোরপূর্বক দখল ও বাড়িঘর ভাঙচুরের অভিযোগ উঠেছে গ্রামের কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তির বিরুদ্ধে। শেষ সম্বল জমিটি হারিয়ে দিশেহারা হয়ে পড়েছেন ওই বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী ও তাঁর স্ত্রী। জমিটি ফেরত পাওয়ার জন্য তাঁরা প্রতিনিয়ত ছুটছেন বিভিন্ন মহলে। জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের কয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী দাউদ মিয়ার (৬৭) স্ত্রী অভিযোগ করে বলেন, ‘আমরা যে জমিতে বসবাস করে আসছি, এটি খাস জমি। আমরা এখানে ৩৫ বছর বাস করছি। তিন দিন আগে বৃষ্টির কারণে আমাদের বাড়িতে পানি ওঠে। এ জন্য কয়েক দিন আমার ছেলের বাড়িতে ছিলাম। এ সুযোগে একই পাড়ার আবুল মল্লিকের ছেলে শাজাহান, জাহাঙ্গীর, সুফির ছেলে মনি, কালামের ছেলে খোকনসহ বেশকিছু লোকজন আমার শেষ সম্বল দুই কাঠা জমির ওপর তৈরি করা মাটির ঘরটি ভেঙে রাতারাতি দখল করে। আমি ঘর ভাঙার কথা জানতে গেলে তারা বলে, এ জমির মালিক তারা, তাই তাদের জমি তারা ফেরত নিয়েছে। তারা আরও বলে, এখান থেকে চলে না গেলে তারা আমাদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দেবে। আমরা এখন নিঃস্ব হয়ে বসে আছি।’
প্রতিবেশীরা জানান, প্রতিবন্ধী দাউদ মিয়া দীর্ঘদিন ওই জমিতে বসবাস করে আসছেন। তা ছাড়া ওই জমিটি ছিল এক হিন্দুর। কিন্তু শাজাহানরা জমিটা দখল নেওয়ার জন্য জোরপূর্বকভাবে তাঁদের ঘরটা ভেঙে দিয়েছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অসহায় বৃদ্ধ প্রতিবন্ধী দাউদ মিয়া ও তাঁর স্ত্রী তাঁদের শেষ সম্বল ওই বসতভিটায় ভেঙে দেওয়া ঘরের মধ্যে বসে আহাজারি করছেন। ওয়ার্ড মেম্বার আব্দুল মোমিন বলেন, দাউদ মিয়া যে জমিতে বসবাস করে আসছেন, সে জমিটি খাস জমি। শাজাহানরা তাঁদের ওই জমিতে থাকতে দেন। কিন্তু জমিটিতে দাউদ না থেকে অন্যকে দিয়েছেন। এ জন্য শাজাহানরা জমিটা দখল নিয়েছে।