চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি: জীবননগর থেকে ২য় শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীর ধর্ষককে আটক করে পুলিশের নিকট সোপর্দ করেছে উৎসুক জনতা। গত বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে জীবননগর শহর থেকে তাকে আটক করে স্থানীয়রা।
জানা গেছে, ব্যবসায়ীক সূত্রধরে জীবননগর উপজেলার বাঁকা গ্রামের ইসমাইল শেখের ছেলে সুলতান (৪৫) দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা পৌরসভার আজিমপুর গ্রামের লাল্টুর সাথে সর্ম্পক গড়ে ওঠে। এই সুত্রে প্রতিনিয়ত তার বাড়িতে যাতায়াত করতো সুলতান। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার সময় সুলতান মদ খেয়ে মাতাল অবস্থায় লাল্টুর বাড়িতে যেয়ে তার সন্ধান করে। এসময় লাল্টুর শিশুকন্যা ২য় শ্রেণীর ছাত্রী (৮) ঘর থেকে বেরিয়ে বাবা-মা বাড়িতে নেই, আপনি পরে আসেন বলে। এসময় মাতাল সুলতান ওই স্কুলছাত্রীর মুখ চেপে ধরে ঘরের ভিতরে নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে পালিয়ে যায়।
এবিষয়টি স্কুলছাত্রী কাউকে কিছু না বলে তারা বাবা-মা সন্ধ্যার সময় বাড়ি এলে তাদের কাছে বলে। তাৎক্ষনিক মেয়ের বাবা জীবননগর বাজারে কয়েকজন ফল ব্যবসায়ীকে বললে তারা সবাই মিলে ধর্ষককে খুঁজতে থাকে। একপর্যায়ে মাতাল অবস্থায় সুলতানকে শহরের একটি স্থান থেকে আটক করে স্থানীয়রা। এসময় তাকে গণধোলাই দিলে ধর্ষক সুলতান ধর্ষণের ঘটনাটি স্বীকার করে। পরবর্তীতে স্থানীয় জণগন ধর্ষককে আটক করে জীবননগর থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করেন।
এ ব্যাপারে মেয়ের বাবা লাল্টুর সাথে কথা বললে তিনি বলেন, আমি বাজারে ফলের ব্যবসা করি এবং সুলতানও আমার সাথে ব্যবসা করে। সে আমার কাছে ১ হাজার টাকা পাবে, তার মধ্যে কিছু পরিশোধ করেছি আর কিছু বাকি আছে। সেই জন্য সে প্রায়ই আমাদের বাড়িতে আসে এর আগেও আসতো। কিন্তু ঘটনার দিন সন্ধ্যার সময় আমাদের বাড়িতে আমার মেয়ে ছাড়া আর কেউ ছিলনা। আর ওই সময় আমার মেয়েকে জোরপুর্বক অত্যাচার করে, আমি বাড়িতে এলে আমার মেয়ে তখন ওই সব কথা আমাদের জানায়।
এ ব্যাপারে জীবননগর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মাহমুদুর রহমানের সাথে কথা বললে তিনি বলেন, গত বৃহস্পতিবার রাতে স্থানীয় জনগণ এক ধর্ষককে আটক করে থানা পুলিশের নিকট হস্তান্তর করে। যেহেতু ঘটনাটি দামুড়হুদা থানার ভিতরে সে কারনে আমি দামুড়হুদা থানার ওসিকে বিষয়টি জানিয়েছি তারা বিষয়টি দেখছে।