নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে শিক্ষকের কাছে ৪ লাখ টাকা চাঁদা দাবির অভিযোগ ও দুই ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে জখম করার ঘটনায় পাল্টাপাল্টি অভিযোগ করা হয়েছে। উভয়পক্ষ সৃষ্ট ঘটনায় নিজেদের নিদোর্ষ প্রমাণিত করার চেষ্টায় বিভিন্নভাবে কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। এ ঘটনায় জীবননগর থানার কোন কর্মকর্তাসহ কোন পুলিশ জড়িত নয় বলে জানিয়েছেন ওসি শেখ গনি মিয়া। তিনি আরো জানান, মূল ঘটনা কী? সেটা জানতে কাজ করছে পুলিশ।
অভিযোকারি শিক্ষক ইন্তাজ আলী অভিযোগ করে বলেন, গত দুই সপ্তাহ আগে গয়েশপুর গ্রামের ফারুকের ছেলে শাহিন আমার দোকানে কিছু ভারতীয় নিমো বড়ি বিক্রয় করতে আসে। এ সময় আমি তার কাছ থেকে ভারতীয় ঔষধ কিনবো না বললে সে আমার উপর ক্ষিপ্ত হয়। আমি দোকান খুলে গ্রামে একটি রোগী দেখে দোকানে আসতেই দেখি মাজায় অস্ত্র নিয়ে চারজন দোকানের সামনে হাজির হয়। আমি তাদের পরিচয় জানতেই তারা বলে আমরা পুলিশ, আপনার ঘরটি তল্লাশী করা হবে এখানে ভারতীয় কিছু মালামাল আছে। আমি তাদের ঘর তল্লাশী করতে বলি। এরপর আমার দোকানের র্যাকের নিচ থেকে তারা একপাতা নিমো বড়ি উদ্ধার করে আমাকে গ্রেফতার করার কথা বলে। আমি তাদের বলি অবৈধ ঔষধের ব্যবসা আমি করি না, তারপরও তারা আমাকে আটক করার চেষ্টা করে। এ সময় পুকু মেম্বার ও আব্দুল মেম্বার আমার দোকানে এসে বলে এর তো কোন টাকার অভাব নেই, এরা অনেক টাকার মালিক। এ সময় তারা আমার কাছে ৪ লাখ টাকা দাবি করে। আমি এতো টাকা কোথায় পাব বলতেই তারা বলে তা হলে আমাদের কিছু করার নেই। তার একটু পরে পুকু মেম্বার আমাকে বলে ২ লাখ টাকায় রফা করেছি, টাকা দে আমি তার কথা মত প্রথমে ৩০ হাজার ও পরে ৩০ হাজার মোট ৬০ হাজার টাকা দিয়েছি। আর বাকি টাকা মাফ করে দিতে বললে তারা গত সোমবার রাত ৮টার সময় সাদা পোষাকে পুলিশ পরিচয়ে দুইজনসহ পুকু ও চুচুক মেম্বার আমাকে দোকান থেকে হ্যান্ডকাপ লাগিয়ে ধোপাখালি মাঠে তুলে নিয়ে যায়। সেখানে আমাকে মারধর করে এবং কাছে থাকা ২ হাজার ৩৫০ টাকাও কেড়ে নেই।এবিষয়ে আব্দুল আলিম চুকুক মেম্বার বলেন, আমি কারো হুমকি-ধামকি এমন কি কারও নিকট থেকে টাকা গ্রহন করিনি। আমার নামে মিথ্যা অপবাদ ছড়ানো হচ্ছে। তাছাড়া ওরা পূর্বপরিকল্পনা করে আমাদের পৌরসভায় ডেকে ওদের দলবল নিয়ে মারধর করেছে।এ ঘটনার পর থেকে পুকু মেম্বার ও চুকুক মেম্বারের ভয়ে গ্রাম ছেড়ে পালিয়েছেন শিক্ষক ইন্তাজ আলী বলে গ্রামবাসী সূত্রে জানা গেছে।এদিকে, এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পুকু মেম্বার ও চুকুক মেম্বার বাদি হয়ে জীবননগর থানায় একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।অপরদিকে গয়েশপুর গ্রামের শাহিন বাদি হয়ে পুকু মেম্বার ও চুকুক মেম্বারসহ ৬ জনের নামে চাঁদাবাজির অভিযোগ তুলে জীবননগর থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।এবিষয়ে জীবননগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ গনি মিয়া জানান, সীমান্ত এলাকার ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ তোলা হয়েছে সেটা সঠিক না। এই ঘটনায় জীবননগর থানার কোন পুলিশ কর্মকর্তা জড়িত নয়। দুই ইউপি সদস্যকে পিটিয়ে আহত করার ঘটনায় লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। এছাড়া দুই ইউপি সদস্যসহ নের নামেও অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। তদন্ত শেষে আইনী ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে।