ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে অভিযোগ
নিউজ ডেস্ক:ঝিনাইদহ সরকারি উচ্চবিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামানের বিরুদ্ধে নীতিমালা বহির্ভূত ছাত্রভর্তি ও জাল ভাউচার বানিয়ে লাখ লাখ টাকা আত্মসাৎ করার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় গতকাল বুধবার দুপুরে শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনার বিভাগীয় পরিচালক ড. হারুন অর রশিদ চৌধুরীর নেতৃত্বে তিন সদস্যের প্রতিনিধি দল ঝিনাইদহে তদন্ত করতে আসে। মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক অধিদপ্তরের মহাপরিচালকের নির্দেশে সহকারী পরিচালক মো. আমিনুল ইসলাম টুকুর ১০৩৮ স্মারকের আলোকে তদন্ত দল ঝিনাইদহ জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সুশান্ত কুমার দেবের অফিসে অভিযোগকারীদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন। সাক্ষ্য গ্রহণকালে অভিযোগকারীদের বক্তব্য রেকর্ড করা হয়। এ সময় অভিভাবকেরা নীতিমালা বহির্ভূত ছাত্রভর্তির তথ্যভিত্তিক রেকর্ড তদন্ত দলের কাছে হস্তান্তর করেন। শিক্ষা অধিদপ্তরের খুলনা বিভাগীয় অফিসের গবেষণা কর্মকর্তা কামরুজ্জামান ও সহকারী পরিচালক ইনামুল ইসলাম তদন্ত দলের সঙ্গে উপস্থিত ছিলেন। অভিযোগকারীরা তাঁদের লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, প্রধান শিক্ষক মিজানুজ্জামান জেলা প্রশাসকের নাম ভাঙিয়ে ছাত্রপ্রতি আড়াই লাখ টাকা ঘুষ নিয়ে বিভিন্ন ক্লাসে আনুমানিক ২৮ জন ছাত্র ভর্তি করেন। তাঁর এ অনৈতিক কাজে সহায়তা করেন শিক্ষক গোলাম সারোয়ার ও নাইটগার্ড ওসমান আলী। এ ছাড়া জাল ভাউচার তৈরি করে এ সিন্ডিকেট বিভিন্ন খাতের লাখ লাখ টাকা লোপাট করে। এসবের প্রমাণাদি ও দলিলপত্র হস্তান্তর করা হয়। অভিযোগকারীরা জানান, এরপরও যদি দুর্নীতিবাজ প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ না করা হয়, তবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও শিক্ষামন্ত্রী বরাবর অভিযোগসহ জেলা শহরে মানববন্ধন কর্মসূচি ঘোষণা করা হবে।