নিউজ ডেস্ক:
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ‘রূপকল্প-২০৩০’ ঘোষণার সমালোচনা করে প্রধানমন্ত্রী ও সংসদ নেতা শেখ হাসিনা বলেছেন, এটি অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহারের মতোই হয়ে গেছে। এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের আগে ক্ষমতায় যেতে হবে। রূপকল্প বাস্তবায়নে প্রয়োজন দেশবাসীর আস্থা। কিন্তু জন আস্থা অর্জন তাদের জন্য কঠিন চ্যালেঞ্জ। নানা ধরণের সন্ত্রাসী কাজে যারা পারদর্শী। তারা (বিএনপি) আবার জনগণকে কি আশার বাণী শোনাবে? আগে তাদের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ হতে হবে যে, অতীতের নেতিবাচক রাজনীতি, অনিয়মতান্ত্রিক তৎপরতায় তারা আর ফিরে যাবে না।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী সভাপতিত্বে বাজেট অধিবেশনে গতকাল বুধবার টেবিলে উত্থাপিত প্রশ্নোত্তর পর্বে সংরক্ষিত মহিলা এমপি বেগম ফজিলাতুন নেসা বাপ্পির প্রশ্নের লিখিত উত্তরে তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, রূপকল্পের নামে বিএনপি নেত্রী ক্ষমতায় গেলে তাঁরা কী কী করবেন তার দীর্ঘ ফর্দ দিয়েছেন। কিন্তু কীভাবে কোনো পদ্ধতিতে এটা বাস্তবায়ন করা হবে, কীভাবে অর্থায়ন করা হবে- তা স্পষ্ট নয়। এটি অনেকটা নির্বাচনী ইশতেহারের মতোই হয়ে গেছে। এই ইশতেহার বাস্তবায়ন করতে হলে তাদের আগে ক্ষমতায় যেতে হবে। শুধু তাই নয়, পার্লামেন্টারি পদ্ধতি ও গণভোট পদ্ধতির পরিবর্তনসহ আরও যেসব মৌল পরিবর্তন তারা আনতে চাচ্ছেন, তার জন্য তো সংসদে দুই-তৃতীয়াংশ ভোট লাগবে। এজন্য জন আস্থা প্রয়োজন। বিএনপি তাদের শাসনামলে অনিয়ম-দুর্নীতি, জঙ্গী পৃষ্ঠপোষকতার যে দৃষ্টান্ত রেখেছেন, এরপর ক্ষমতায় বাইরে থেকে জ্বালাও-পোড়াওসহ অনিয়মতান্ত্রিক তৎপরতা দিয়ে যে নেতিবাচক ইমেজ তৈরি করেছে, তা কাটিয়ে উঠে এতটা সহজ নয়। জনআস্থা অর্জন তাদের জন্য যে কঠিন চ্যালেঞ্জ তা বলাই বাহুল্য।
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, বিএনপি তাদের রূপকল্প-২০৩০- এ যে বিষয়গুলো উল্লেখ করেছে তার অধিকাংশই আমাদের সরকার ইতোমধ্যে পূরণ করেছে এবং আগামী অর্থবছরে আমরা বাকি কাজগুলো শেষ করবো। আমাদের এই মেয়াদের মধ্যেই রূপকল্প-২০৪১ উপহার দেব। এছাড়া ‘এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ’ শীর্ষক নির্বাচনী ইশতেহারে ২০৪১-তে দীর্ঘমেয়াদী লক্ষ্য ২০৫০ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে বিশ্বের প্রথমসারির উন্নত দেশগুলোর সমপর্যায়ে উন্নীত করার রূপরেখা অঙ্কিত হয়েছে।