নিউজ ডেস্ক:
অনুপ্রবেশ ঠেকাতে এবং বাংলাদেশের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই আরও জোরদার করতে এবার নতুন উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। বাংলাদেশ সংলগ্ন ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা ও মিজোরামের বিভিন্ন রাস্তা ব্যবহারে ঢাকাকে সবুজ সঙ্কেত দিল নয়াদিল্লি।
বাংলাদেশের চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকায় সীমান্ত চৌকি (বিওপি) তৈরি করতে বর্ডার গার্ডস বাংলাদেশ (বিজিবি)-কে ওই দুই রাজ্যের সীমান্তবর্তী রাস্তা ব্যবহারের অনুমতি দেওয়া হয়েছে ভারতের পক্ষ থেকে। ওই বিপিও নির্মাণে বিজিবি-কে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা দেওয়াসহ সমস্ত লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়া হবে বলেও জানানো হয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের তরফে। এর ফলে বাংলাদেশের মাটিতে ঘাঁটি গেড়ে থাকা উত্তরপূর্ব ভারতের বিভিন্ন সন্ত্রাসী গোষ্ঠীগুলির বিরুদ্ধে যৌথ লড়াই আরও জোরদার করা যাবে পাশাপাশি অনুপ্রবেশও ঠেকানো সম্ভব হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
ভারতের স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে খবর চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকা থেকে জঙ্গি অনুপ্রবেশ ও পাচার ঠেকাতে সীমান্ত বরাবর বহুমুখী পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে। এবিষয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা জানান ‘বাংলাদেশ সীমান্ত এলাকায় সীমান্ত রক্ষী মোতায়েন, বেড়া নির্মাণ, সীমান্ত রাস্তা নির্মাণ, বিওপি নির্মাণ, বিশেষ আলোার ব্যবস্থা (ফ্লাডলাইট), নজরদারি বাড়াতে উচ্চপ্রযুক্তির উপকরণ লাগানো, অত্যাধুনিক অস্ত্র, সীমান্ত পরিদর্শনের জন্য নিরাপত্তা বাহিনীকে বিশেষ যানবাহনের ব্যবস্থা করা হয়েছে’।
সম্প্রতি ত্রিপুরা মুখ্যমন্ত্রী মানিক সরকারসহ উত্তরপূর্ব ভারতের কয়েকটি রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরা অভিযোগ করেন যে ত্রিপুরা ও উত্তরপূর্বের অন্যান্য সন্ত্রাসবাদী গোষ্ঠীগুলি বাংলাদেশ সীমান্তরক্ষী বাহিনীর অনুপস্থিতির সুযোগ নিচ্ছে, বিশেষ করে চট্টগ্রাম পার্বত্য এলাকার মতো দুর্গম এলাকা দিয়ে ওই সন্ত্রাসীগোষ্ঠীগুলি তাদের নাশকতা সংগঠিত করছে।
মানিক সরকার নিজেও জানান ‘বাংলাদেশ সরকার ইতিমধ্যেই এই সব বিচ্ছিন্নতাবাদী গোষ্ঠীদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিয়েছে কিন্তু কিছু কিছু গোষ্ঠী গা ঢাকা দিয়ে বাংলাদেশের আরও দুর্গম এলাকায় পালিয়েছে। ’
উত্তরপূর্বের বিভিন্ন মুখ্যমন্ত্রীদের পক্ষ থেকে এই অভিযোগ আসার পরই কেন্দ্রের তরফে এই তাৎপর্যপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করা হচ্ছে।
সূত্র : বিডি প্রতিদিন