ছয়দিনের মধ্যে অবৈধ স্থাপনা অপসারণের নির্দেশ

0
10

আন্দুলবাড়ীয়া উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি পরিদর্শনে ইউএনও সিরাজুল ইসলাম

নিউজ ডেস্ক:জীবননগর উপজেলার আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি দখল করে অবৈধভাবে স্থাপনা অপসারণের জন্য ৬ দিনের সময়সীমা বেধে দেয়া হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকাল ১১টায় জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম সরেজমিন পরিদর্শন করে এ নির্দেশ দেন। তিনি স্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি পরির্দশনকালে উপস্থিত জনতার নিকট ঘটনার বর্ণনা শোনেন এবং অবৈধ দখলদারদের উপস্থিতিতে তিনি বলেন, জনগণ হলো সকল শক্তির উৎস। সরকারি কোন সম্পত্তি কেউ অবৈধভাবে দখল করে রাখতে পারে না। জমিটি দখলমুক্ত করতে দ্রুত খালি করে দেওয়ার নির্দেশ দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের উপসহকারী মেডিকেল অফিসার ডা. কানাই লাল দাস, জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সিএ নজির আহম্মদ, স্যানিটারি ইন্সপেক্টর আনিছুর রহমান, উপজেলা ভূমি সার্ভেয়ার মাজেদুল হক, আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির সাবেক সভাপতি হাজী আমিনুল ইউসুফ খোকন, আন্দুলবাড়ীয়া ইউপি’র সাবেক মেম্বার রমজান আলী, শহিদুর রহমান, ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক শেখ আতিয়ার রহমান, আইন ও সাংস্কৃতিক বিষয়ক সম্পাদক মীর মাসুদুল খালেক বুলু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শেখ মহিদুল ইসলাম মধু প্রমুখ।
উল্লেখ্য, আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন উপস্বাস্থ্য কেন্দ্রের জমি ভোগ দখল করে আসছেন আন্দুলবাড়ীয়া ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক, আন্দুলবাড়ীয়া বাজার কমিটির সাধারণ সম্পাদক জামিরুল খান ও ইউনিয়ন বিএনপির সিনিয়র সহসভাপতি খন্দকার নাসির উদ্দীন সোহাগ।
এদিকে, প্রধান সড়কের ধারে মাটি, ইট, বালি, রড, খোঁয়া অবৈধভাবে স্তুপ করে ফেলে রেখে যানজটসহ জনদূর্ভোগ সৃষ্টি করার অপরাধে দন্ড বিধির ১৮৬ ধারা মোতাবেক আন্দুলবাড়ীয়া বাজারের ব্যবসায়ী ডা. এমদাদুল হাসান ওরফ হুজুর আলী ও মমিন ফার্মেসীর স্বত্ত্বাধিকারী মমিনুল হক মমিনকে ৫শ’ টাকা করে মোট ১ হাজার টাকা জরিমানা করেন।
এ ছাড়াও তিনি আন্দুলবাড়ীয়া বাজার এলাকায় জনস্বার্থে গণবিজ্ঞপির প্রচার-প্রচারণা ছাড়া যত্রতত্র মাইকিং প্রচার নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন। শুধুমাত্র ইউপি চেয়ারম্যানের অনুমতিক্রমে গণবিজ্ঞপির প্রচার-প্রচারণা চালাতে পারবে।