দামুড়হুদার জিরাট প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষকের বিরুদ্ধে
নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের জিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল হেলাল রাজার বিরুদ্ধে বিদ্যালয়ের এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ঘটনার সত্যতা প্রমাণে আজ সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সালিস সভার আয়োজন করেছে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটি।
জানা গেছে, দামুড়হুদার পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউনিয়নের জিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আল হেলাল রাজার বিরুদ্ধে একই বিদ্যালয়ের পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে যৌন হয়রানি করার অভিযোগটি বেশ কিছুদিন আগের হলেও গতকাল রোববার সকালের দিকে ঘটনাটি প্রকাশ পেলে গ্রামবাসী উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে মিলিত হয়। এ সময় অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনার প্রমাণ পেলে ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক। পরে বিদ্যালয় আঙিনায় পরিস্থিতি শান্ত হলেও গ্রামজুড়ে নানা গুঞ্জন ও উত্তেজনা দেখা দেয়। এ ঘটনায় আজ সোমবার বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে অভিযুক্ত শিক্ষকের বিরুদ্ধে ঘটনার সত্যতা প্রমাণে সালিস-বৈঠক বসবে।
এ বিষয়ে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক জাহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত শনিবার আমি একই ইউনিয়নের বাড়াদী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থেকে বদলি হয়ে জিরাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে প্রধান শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেছি। তাই এ বিষয় সম্পর্কে আমার তেমন কিছু জানা নেই। রোববার সকালের দিকে কিছু ছেলে উত্তেজিত হয়ে বিদ্যালয়ের সামনে হাজির হলে, আমি তাঁদের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাই।’ তিনি আরও বলেন, সহকারী শিক্ষক রাজার বিরুদ্ধে মৌখিক অভিযোগ পাওয়ার পর বিষয়টি নিয়ে বসে সমাধান করা হবে বলে তিনি গ্রামবাসীকে আশ্বস্ত করেন।
এ প্রসঙ্গে বিদ্যালয়ের পরিচালনা কমিটির সভাপতি শরীফ উদ্দিন বলেন, ‘শিক্ষক রাজা এ ধরনের মানুষ নন। তবে আমরা এ বিষয়ে বিভিন্ন ধরনের গুঞ্জন শোনার পর গ্রামের উত্তেজিত লোকজনকে শান্ত করি। এ বিষয়ে সোমবার সকালে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে সালিস সভার আয়োজন করা হয়েছে। উত্থাপিত অভিযোগ প্রমাণ হলে অভিযুক্ত শিক্ষককে উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হবে।’
এ বিষয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক রাজার মুঠোফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে ফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য নেওয়া সম্ভব হয়নি।