এলাকা জুড়ে আতংক, ক্ষোভ, বাধ নির্মানে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ
সিরাজগঞ্জ প্রতিনিধি ঃ সিরাজগঞ্জের চৌহালীতে তীর সংরক্ষন বাধে আবারো ধস নেমেছে। ১০৯ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত এই বাধে ৭ম বারের মত ধসে খাসকাউলিয়া অংশে ২০ মিটার বিলীন হয়েছে। মঙ্গলবার ভোরে হঠাৎ এ ধসের ফলে এলাকা জুড়ে আতংকের সৃষ্টি হয়েছে। নির্মানে নানা অনিয়ম ও দুর্নীতির কারনেই কাজ প্রায় সমাপ্তির দিকে যাওয়া বাধটি মুলত ধসের কারন বলে অভিযোগ করেছে এলাকাবাসী। তবে দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ড তথা ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান এই ধসের পরিধী ঠেকাতে কোন পদক্ষেপ গ্রহন করেনি। তাই সবার মাঝে দেখা দিয়েছে আতংক।
পানি উন্নয়ন বোর্ড সুত্র এবং এলাকাবাসী জানায়, চৌহালী উপজেলা সদরের পৌনে ৪ কিলোমিটার এবং টাঙ্গাইলের সোয়া ৩ কিলোমিটার মিলে ৭ কিলোমিটার এলাকা রক্ষায় এশিয়া উন্নয়ন ব্যাংক ১০৯ কোটি টাকার বরাদ্ধ গ্রহন করে। এই টাকা দিয়ে ভাঙ্গনের রশি টেনে ধরতে নদীর পুর্ব পাড়ের টাঙ্গাইল সদর উপজেলার সরাতৈল থেকে দক্ষিনে নাগরপুর উপজেলার পুকুরিয়া, শাহজানীর খগেনের ঘাট, সিরাজগঞ্জের চৌহালী উপজেলার ঘোরজানের চেকির মোড়, আজিমুদ্দি মোড়, খাসকাউলিয়া, জোতপাড়া পর্যন্ত ৭ কিলোমিটার গত ২০১৫ সালের ২৪ নভেম্বর সংরক্ষন বাধ শুরু হয়। যার ৯৫ ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। তবে হঠাৎ করে মঙ্গলবার ভোরে বাধের চৌহালীর খাসকাউলিয়া অংশে প্রায় ২০ মিটার জুড়ে ধসে যায়। বাধ থেকে বিচ্ছন্ন হয় পাথরের বোল্ড ও জিও ব্যাগ। সাধারন ¯্রােতে আকষ্মিক এ ধসে এলাকা জুড়ে সবার মাঝে আতংক দেখা দেয়। দফায়-দয়ায় এমন ভাঙ্গন নির্মানে স্লপিং কাজে অকার্যকর মাটি নিচে ফেলে ব্লক দেয়া সহ পাথরের চারপাশে ফাকা স্থান গুলো সিমেন্ট দিয়ে পুর্ন করে না দেয়ায় পানি ঢুকে তা সাধারন ¯্রােতেই সরে এই ধস দেখা দিয়েছে বলে এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে। চলতি বছরে ৭ দফা ধসে মুল বাধটিও ঝুঁকির মধ্যে পড়েছে। তাই কাজ নিয়ে অসন্তোষ ক্ষোভ প্রকাশ ক্ষুব্দ এলাকাবাসী।
চৌহালী উপজেলা নির্বাহী অফিসার সাদেকুর রহমান জানিয়েছেন, বাধে বার-বার ধস আসলেই আমাদের অবাক করেছে। এক্ষেত্রে দায়িত্বশীল ভুমিকা পালন করা উচিৎ। আমি ধসের বিষয়টি পাউবো কর্তৃপক্ষকে অবহিত করেছি। আশা করছি দ্রুততম সময়ের মধ্যে তা মেরামত করা হবে।
এদিকে বাধটি বার-বার ধসে চিন্তিত তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত টাঙ্গাইল পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী শাহজাহান সিরাজ জানান, বার-বার ধসে আমরাও বিব্রত। তাই প্রধান প্রকৌশলী ও পাউবো মহাপরিচালককে অবহিত করা হয়েছে। আশা করছি তারা দ্রুত বাধ পরিদর্শন করে কার্যকরি পদক্ষেপ নিবেন।
উল্লেখ্য, গত এপ্রিল মাসের ২ ও ১৬ মে, ৮ জুন, ২৩ জুন, ৩ জুলাই একই ভাবে এ বাধের বিভিন্ন অংশে একই ভাবে ধসে যায়।