নারী শিশুকন্যা নিয়ে চিকিৎসাধীন : রহস্য
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৩ দিন যাবত শিশুকন্যাকে নিয়ে এক অজ্ঞাত নারী চিকিৎসাধিন রয়েছে। গত ২৬ ডিসেম্বর দুপুরে কে বা কারা অজ্ঞান অবস্থায় ওই নারীকে ভর্তি করিয়ে পালিয়ে যায় বলে হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে। তবে ওই নারী বোবা ও নিরক্ষর থাকায় কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। তার কোলজুড়ে ১২ মাসের একটা ফুটফুটে কন্যা শিশু রয়েছে। কথা বলতে না পারাই ওই নারী, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ, ও সেবিকারা চরম দুশ্চিন্তায় পড়েছেন। ওই নারীর কাছে কোন স্বজন না থাকায় ঔষধপাতি, খাবারসহ শিশু কন্যাকে নিয়ে চরম বিপাকে পড়েছেন। ওই নারী অসুস্থ থাকায় শিশুটিকে দেখভাল পাশের রোগীর স্বজনেরা কোন রকম করছে। এ নিয়ে ওয়ার্ডে রোগীদের মধ্যে তীব্র আলোচনার ঝড় বইছে। এ বিষয়ে হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ ভর্তি আনায়নকারির বরাত দিয়ে বলেন, গত ২৬ ডিসেম্বর সরোজঞ্জ বোয়ালিয়া গ্রামের তাহাজ্জুলের ছেলে হাসমত আলী দুপুর ১টা ১০ মিনিটের দিকে ওই নারীকে ভর্তি করে। সে বলে ওই নারী অজ্ঞান অবস্থায় শিশুটিকে নিয়ে রাস্তায় পড়েছিল। ভর্তির পর সুযোগ বুঝে সটকে পড়ে ভর্তি আনায়নকারী হাসমত আলী। পরে ওই নারীকে হাসপাতালের মহিলা মেডিসিন ওয়ার্ডে ভর্তি করে চিকিৎসা চলছে। খবর পেয়ে সরেজমিনে গিয়ে ওই নারীকে জিজ্ঞাসা করলে তিনি মাথা ঝেকিয়ে ও ইশারা করে বুঝিয়ে দেন সে কথা বলতে পারে না। তার বাড়ি কোথায় এবিষয়ে ঈশারায় সরোজগঞ্জ কয়েক গ্রামের নাম বলার একপর্যায়ে সদর উপজেলার কুতুবপুর ইউনিয়নের নাম করলে সে মাথা ঝেকিয়ে ‘হ্যা’ বলেন। একপর্যায়ে তার স্বামী তাকে নির্যাতনের কথা বললে ‘হ্যা’ বলেন ঈশারায়। তবে অন্য কোন বিষয়ে ‘হ্যা’ সূচক ঈশারা পাইনি এ প্রতিবেদক।এ বিষয়ে ওই ওয়ার্ডের কর্মরত সিনিয়র স্টাফ নার্স রোমানা সুলতানা বলেন, ওই নারী কথা না বলায় আমাদের সেবা দিতে যেমন হিমশিম হচ্ছে ঠিক তার শিশুকন্যকে নিয়ে চরম দুশ্চিতায় পড়েছে ওই নারী। সে নিজেই অসুস্থ, কিভাবে শিশুটিকে সেবা করবে? আমরা তাকে বেডের ব্যবস্থা করেছি। হাসপাতাল থেকে খাবার ও ঔষধ পাচ্ছে। আমরা সাধ্যমত চেষ্টা করছি তার সেবা করতে। এ দিকে হাসপাতালের কয়েকজন রোগী ধারণা করছেন, তাকে মারধর করে পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে ভর্তি করে সটকে পড়েছে। তারা অজ্ঞাত নারী ও শিশুটির পরিচয় ও পরিবারকে খুঁজে আইনগত ব্যবস্থা নেয়ার জন্য উর্ধ্বতন কর্মকর্তার দৃষ্টি আকর্ষন করেছেন।