নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চুরির পরপরই আবারও নারী চোরচক্রের সদস্য নদী (২৫) আটক হয়েছেন। গতকাল রোববার বেলা ১১টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে তাঁকে আটক করা হয়। এ সময় অবস্থা বেগতিক দেখে গা ঢাকা দেয় চোর চক্রের অন্য সদস্যরা। হাসপাতালে চিকিৎসারত দুই নারীর অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে হাসপাতালের সিসিটিভি ফুটেজ দেখে শনাক্তের পর চোরকে আটক করে হাসপাতালে কর্তব্যরত পুলিশ। নদী চুয়াডাঙ্গার রেল বস্তি এলাকার ইসমাইলের মেয়ে।
জানা যায়, গতকাল রোববার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে আসেন চুয়াডাঙ্গা ভেমরুল্লার আমিরুজ্জামানের স্ত্রী বিথি। হাসপাতালের বহির্বিভাগে ভিড়ের মধ্যে নদী তাঁর ব্যাগ থেকে ১৬০০ টাকা বের করে নেন। এরপর হাসপাতালের ২০৫ নম্বর কক্ষের সামনে থেকে দর্শনার মৃত হারুন আর রশিদের স্ত্রী আফরোজা নামের আরও এক নারীর ব্যাগ থেকে দশ হাজার টাকা বের করে নেন তিনি। এ ঘটনার পর হাসপাতালের ১০১ নম্বর কক্ষে সিসিটিভি ফুটেজ দেখে নদীকে শনাক্ত করা হয়। পরে হাসপাতালের কর্তব্যরত পুলিশ দ্বিতীয় তলা থেকে চোর নদীকে আটক করে। এর পূর্বেও পরপর দুইবার চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল থেকে রোগীদের ভ্যানেটি ব্যাগ থেকে টাকা চুরির সময় হাতেনাতে ধরা পরেন নদী।
হাসপাতালেই জিজ্ঞাসাবাদে নদী চুরির কথা স্বীকার করেন। তবে তাঁর কাছ থেকে ২ হাজার ৫ শ ৭২ টাকা উদ্ধার করা হয়। বাকি টাকার কথা জিজ্ঞাসা করলে নদী জানান, ১০ হাজার টাকা চুরির পরপরই তাঁর সহকর্মী ফার্মপাড়ার সাদ্দামের ছেলে আকাশের কাছে দিয়ে দেন তিনি। তবে আকাশকে আটক করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় নদীকে চুয়ডাঙ্গা সদর থানায় প্রেরণ করা হয়েছে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু জিহাদ ফকরুল আলম খান বলেন, হাসপাতালে চুরি ঠেকাকে হাসপাতালের নজরদারি বাড়ানো হয়েছে। যেখানে অনেক মানুষের যাওয়া-আসা, সেখানে চোর থাকে। পুলিশ কাজ করছে। চোরের হোতা ধরা পড়েছে, চোর চক্রের বাকি সদস্যরাও ধরা পড়বে।