পরীক্ষার্থীদের কাছে প্রশ্ন সরবরাহে বিলম্ব
পরীক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল, কোনো বিলম্বের খবর পাইনি : ডিসি গোপাল চন্দ্র দাস
নিউজ ডেস্ক:উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর ৪৫ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে অবস্থান নিতে হয় পরীক্ষার্থীদেরকে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। জেলার নিবন্ধনকৃত ১৮ হাজার ৬৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৭ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৪৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম। উৎসবমুখর পরিবেশে চুয়াডাঙ্গার চার উপজেলার সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষা সম্পন্ন হয়েছে। শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০টা থেকে সাড়ে ১১টা পর্যন্ত ঘন্টাব্যাপি লিখিত পরীক্ষা নেওয়া হয়। এর ৪৫ মিনিট পূর্বে কেন্দ্রে অবস্থান নিতে হয় পরীক্ষার্থীদেরকে। প্রশ্নপত্র ফাঁস, দুর্নীতি, অনিয়ম কিংবা কোনো প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা মোকাবেলায় সর্বোচ্চ সর্তক অবস্থানে ছিল জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসন। জেলার নিবন্ধনকৃত ১৮ হাজার ৬৬১ জন প্রার্থীর মধ্যে পরীক্ষায় অংশ নিয়েছেন ১৪ হাজার ৪১৭ জন। অনুপস্থিত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ৪ হাজার ২৪৫ জন। এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার (চলতি দায়িত্ব) সাইফুল ইসলাম। জেলার চার উপজেলার সব প্রার্থীর পরীক্ষা গ্রহণ করা হয় ১৫টি ভেন্যুর ১৬টি কেন্দ্রে। কেন্দ্রগুলো হলো চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের প্রশাসনিক ভবন, চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাণিজ্য ভবন, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ সরকারি মহিলা কলেজ, চুয়াডাঙ্গা পৌর ডিগ্রি কলেজ, চুয়াডাঙ্গা ভি.জে সরকারি উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা সরকারি বালিকা উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা আদর্শ উচ্চবিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা ঝিনুক মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা এমএ বারী মাধ্যমিক বিদ্যালয়, চুয়াডাঙ্গা জাফরপুরস্থ সীমান্ত মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ মাধ্যমিক বিদ্যালয়, সরোজগঞ্জ ছাদেমান নেছা মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়, ডিঙ্গেদহ সোহরাওয়ার্দী স্মরণী বিদ্যাপিঠ, দামুড়হুদা পাইলট গার্লস স্কুল এন্ড কলেজ, দামুড়হুদা সরকারি পাইলট হাইস্কুল ও দামুড়হুদা আব্দুদ ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজ। পরীক্ষা শুরু হলে বেশ কয়েকটি কেন্দ্র পরিদর্শন করেন জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস ও পুলিশ সুপার মাহবুবুর রহমান পিপিএম (বার)।১৬টি কেন্দ্র ঘুরে কোথাও কোনো ধরনের প্রশ্নফাঁস কিংবা গোলযোগের খবর পাওয়া যায়নি। কেন্দ্রগুলোতে প্রশাসনের উপস্থিতি ছিল চোখে পড়ার মতো। তবে নির্ধারিত সময় অতিবাহিত হলেও ‘ওএমআর’ শিট এবং প্রশ্নপত্র দিতে বিলম্বের অভিযোগ পাওয়া যায় অধিকাংশ কেন্দ্রের পরীক্ষার্থীদের কাছ থেকে।পরীক্ষার্থী তন্দ্রা কর্মকার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে একটি পোস্টে লিখেছেন, ‘পরীক্ষার হলে গিয়ে মনে হলো পরীক্ষা হলে কর্তব্যরত শিক্ষকগণ অপ্রশিক্ষিত। পরীক্ষা শুরু হওয়ার ৫ মিনিট পরেও ‘ওএমআর’ শিট বিতরণ হয়নি, আবার ১ মিনিটে বিতরণ হলেও দেখা গেছে সেট কোড যার যেটা, সেটা সে পায়নি। আবার ১০ মিনিট পার হয়ে যাচ্ছে প্রশ্নপত্র দেয়ার নাম নেই, তাঁরা নাকি বুঝতে পারেননি। পরীক্ষা হলে সময় দেখার কোনো ব্যবস্থা নেই। একটা দেয়াল ঘড়ি থাকা জরুরি ছিল। ভালই দেখলুম অদক্ষতা।’একই অভিযোগ করেন পরীক্ষার্থী খালিদ হাসান। তিনি সময়ের সমীকরণকে বলেন, ‘আমরা এক ঘণ্টা আগে চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজ কেন্দ্রে পৌঁছাই। সাড়ে নয়টার পর আমাদেরকে হলে বসতে দেওয়া হয়। সাড়ে ১০টায় প্রশ্ন দেওয়া হলেও তা পেতে বেশ ঝামেলায় পড়তে হয় আমাদের। একবারে সব পরীক্ষার্থীদের ‘ওএমআর’ শিট ও প্রশ্নপত্র না নিয়ে এসে কিছুক্ষণ পরপর ২০-৩০টি করে এনে বিতরণ করা হয়। সর্বশেষ আমি প্রশ্ন পেয়েছি ১০টা ৫০মিনিটের দিকে। কিন্তু উত্তরপত্র জমা নেওয়া হয় নির্দিষ্ট এক ঘণ্টা সময় শেষ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই।’ একই অভিযোগ কেন্দ্রগুলোর একাধিক পরীক্ষার্থীর। তবে বিলম্বের কারণ ও এর সতত্য নিশ্চিতে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে নিয়োজিত দায়িত্বশীল ব্যক্তিদের কোনো সুনির্দিষ্ট বক্তব্য পাওয়া যায়নি। এ প্রসঙ্গে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক গোপাল চন্দ্র দাস বলেন, ‘আমি বিভিন্ন কেন্দ্র ঘুরেছি। পরীক্ষার পরিবেশ অত্যন্ত শান্তিপূর্ণ ছিল। তা ছাড়া কোনো বিলম্বের খবর আমি পাইনি।’এদিকে পরীক্ষা দিতে আসা প্রার্থীদের চাপে চুয়াডাঙ্গা কোর্টমোড়, নতুন বাজার, বড় বাজার, রেলগেটসহ গুরুত্বপূর্ণ সড়কে কিছুটা যানজট সৃষ্টি হয়। তাৎক্ষণিক ট্রাফিক পুলিশের সদস্যদের উপস্থিতিতে তা নিরসন করে চলাচল স্বাভাবিক রাখা হয়। অনেকে বৈরি আবহাওয়ার জন্য নির্দিষ্ট সময়ে কেন্দ্রে পৌঁছাতে বেশ ভোগান্তিতে পড়েন।