বোমা-সদৃশ বস্তু উদ্ধার, হামলার প্রতিবাদে রাতেই যুবলীগের বিক্ষোভ
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গায় সাবেক ছাত্রলীগ নেতা ও বর্তমান পৌর যুবলীগের নেতা শেখ সানি সুইটের ওপর বোমা হামলা করেছে দুর্বৃত্তরা। গতকাল সোমবার রাত পৌনে আটটার দিকে পৌর শহরের বাগানপাড়ায় নিজ বাসভবনের সামনে এ হামলার শিকার হন তিনি। তাঁকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হামলার শিকার সুইট বলেন, ‘জেলা যুবলীগ আয়োজিত প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠান শেষে বাড়িতে যায় আমি। এরপর মুরগিঘর ও কবুতরঘরের দরজা লাগিয়ে বের হতেই আগে থেকে ওঁৎ পেতে থাকা কয়েকজন আমাকে উদ্দেশ্য করে একটি বোমা ছোড়ে। বোমাটি বিস্ফোরিত হলে আমি সেখানে জ্ঞান হারিয়ে মাটিতে পড়ে যায়।’ তবে হামলাকারীরা দুইটি মোটরসাইকেলে চারজন ছিল। তাঁদের মধ্যে দুজনকে তিনি চিনতে পেরেছেন বলে জানান।খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার পুলিশের একটি দল ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাদা স্কসটেপে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃশ্য বস্তু উদ্ধার করে। তবে আরেকটি বোমা বিস্ফোরণের তেমন কোনো আলামত পাওয়া যায়নি বলে জানায় পুলিশ।এ প্রসঙ্গে সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবু জিহাদ ফখরুল আলম খান বলেন, ‘বোমা হামলার খবর পেয়ে ভিকটিমের সঙ্গে কথা বলে ঘটনার বর্ণনা শুনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করি। পরিদর্শনকালে সাদা স্কসটেপে মোড়ানো একটি বোমা সাদৃস্য বস্তু উদ্ধার করা হয়। তবে বিস্ফোরিত বোমার কোনো আলামত সেখানে পাওয়া যায়নি। আলামত সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।’ এ হামলার উদ্দেশ্য কী বা কেন হতে পারে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এখনই সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলা যাচ্ছে না। তা ছাড়া কোনো লিখিত অভিযোগ হাতে পায়নি। তবে আমরা বিষয়টি তদন্ত করে দেখছি। এর সঙ্গে কোনো পূর্বশত্রুতার জের বা রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব আছে কি না।’এদিকে, খবর পেয়ে হামলার শিকার যুবলীগের কর্মী সুইটকে দেখতে হাসপাতালে ছুঁটে আসেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দারসহ নেতৃবৃন্দ। এ ছাড়া হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে রাতেই জেলা যুবলীগের কার্যালয় থেকে বিক্ষোভ মিছিল বের করেন নেতা-কর্মীরা। মিছিলটি শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে শহীদ হাসান চত্বরে গিয়ে শেষ হয়। এ সময় সেখানে এক বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য দেন জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হাফিজুর রহমান হাপু, জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি শরিফ হোসেন দুদু প্রমুখ। হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে জড়িত ব্যক্তিদের দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়ে জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক নঈম হাসান জোয়ার্দ্দার বলেন, একটি মহল নিজেদের অস্তিত্ব-সংকট মনে করে যুবলীগের কর্মী সুইটের ওপর হামলা করে প্রভাব দেখানোর চেষ্টা করেছে। কিন্তু জেলা যুবলীগের বর্তমান নেতা-কর্মীদের কাছে তাঁরা নস্যি। এ কারণে রাজপথের মিছিল-মিটিং, সভা-সমাবেশে তাঁদের দাপট কমে গেছে। তাঁরা এখন রাতের আধারে অস্ত্র-বোমা নিয়ে নেতা-কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়ে ভীতি সৃষ্টি করছেন। এসব চিহ্নিত সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় নিয়ে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দিতে হবে।