নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার (ইউএনও) হস্তক্ষেপে বাল্যবিবাহ থেকে রক্ষা পেয়েছে সপ্তম শ্রেণির এক স্কুলছাত্রী। গতকাল সোমবার রাত ১১টার দিকে শহরের আরমপাড়া এলাকায় কাজির বাড়িতে বিয়ে পড়ানোর সময় সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান অভিযান পরিচালনা করে এ বাল্যবিবাহ বন্ধ করেন। এ ঘটনায় ভুয়া কাজিকে দেড় মাস ও স্কুলছাত্রীর দুলাভাইকে এক মাস জেল দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ ছাড়া নাবালক বরকে থানাহাজতে নিয়েছে পুলিশ।
জানা গেছে, এ ঘটনায় সাজাপ্রাপ্ত ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরমপাড়ার মৃত দাউদ হোসেনের ছেলে একাধিক বাল্যবিবাহ পড়ানোর মামলার আসামি ভুয়া কাজি নাজমুল হক হীরা (৫৮) ও চুয়াডাঙ্গা শহরতলী আলুকদিয়া খেজুরবাগান পাড়ার মৃত হবি মিয়ার ছেলে কনের দুলাভাই ফরজ আলী (৩০)। এ ঘটনায় নাবালক বর মেহেরপুর জেলার গাংনী থানার হিজলবাড়ী গ্রামের শহিদুল ইসলামের ছেলে ভাটাশ্রমিক শরিফকে (১৫) থানা হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
ভ্রাম্যমাণ আদালত সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাতে সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা জানতে পারেন, চুয়াডাঙ্গা পৌর শহরের আরামপাড়াই ভুয়া কাজি নাজমুল হক হীরার বাড়িতে বাল্যবিবাহের আয়োজন চলছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে সদর থানার পুলিশ ও শহর ফাঁড়ি পুলিশের সহায়তায় ইউএনও মুহাম্মদ সাদিকুর রহমান ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচলান করেন। এ সময় বিয়েতে আসা বর ও কনের আত্নীয়-স্বজন পালিয়ে যান। আটক হন বরসহ মেয়ের দুলাভাই ও ভুয়া কাজি। আটকের পর ২০১৭ সালের বাল্যবিবাহ নিরোধ আইনের ধারায় কাজিকে দেড় মাস এবং কনের দুলাভাইকে এক মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন ভ্রম্যমাণ আদালত। এ ঘটনায় নাবালক বর শরিফকে আটক করে থানা হেফাজতে নেওয়া হলেও বাল্য বিবাহ থেকে রক্ষা পাওয়া ওই স্কুল ছাত্রীকে তার পরিবারের জিম্মায় দেয় পুলিশ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আটক বরের বিরুদ্ধে মামলার প্রস্তুতি চলছে।