নিউজ ডেস্ক:
আগাম জাতের ফুলকপি চাষে লাভবান হচ্ছেন চুয়াডাঙ্গার চাষিরা। অল্প খরচে লাভ বেশি হওয়ায় জেলায় প্রতি বছরই বাড়ছে আগাম ফুলকপির চাষ।
চলতি বছর চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১ হাজার ২৫০ হেক্টর জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির আবাদ হয়েছে। ফলনও হয়েছে বাম্পার।
সংশ্লিষ্টরা জানান, দেশে চলতি বছরের বন্যায় ফসলের ব্যাপক ক্ষতি হয়েছে। অপরদিকে, ব্যাপকহারে রোহিঙ্গা শরণার্থী আসায় খাদ্য চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। ফলে সারাদেশে সব ধরণের সবজির দাম বেড়ে গেছে। তবে এমনিতেই আগাম জাতের সবজি চাষ করে কৃষকরা লাভবান হন।
দামুড়হুদার রামনগর গ্রামের সবজিচাষী আনোয়ার হোসেন জানান, চলতি বছর তিনি আড়াই বিঘা জমিতে আগাম জাতের ফুলকপির আবাদ করেছেন। এতে তার খরচ হয়েছে প্রায় ৪৫ হাজার টাকা। তিনি ইতিমধ্যেই প্রায় দেড় লাখ টাকার ফুলকপি বিক্রি করেছেন।
সদর উপজেলার ভালাইপুর বাজারের আড়ৎ ব্যবসায়ী হারান মন্ডল জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলায় উৎপাদিত সবজির চাহিদা এমনিতেই বেশি। চুয়াডাঙ্গায় উৎপাদিত ফুলকপি খুলনা, ঢাকা, চট্টগ্রাম, গোপলগঞ্জ, সিলেটে বেশি রপ্তানি হয়। তবে এ বছর ব্যাপারিরা প্রায় সারাদেশেই চুয়াডাঙ্গার ফুলকপি নিয়ে যাচ্ছেন।
চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ তালহা জুবাইর মাসরুর জানান, চুয়াডাঙ্গা জেলার আবহাওয়া ও মাটি সব ধরনের সবজি উৎপাদনের জন্য বিশেষ উপযোগী। এ জেলার চাষিরা বরাবরই আধুনিক চাষের সাথে সম্পৃক্ত। জেলায় আগাম জাতের ফুলকপি চাষ করে কৃষকরা বেশ লাভবান হচ্ছেন। ফলে তারা ফুলকপি চাষের দিকে ঝুঁকে পড়ছেন।