নিউজ ডেস্ক:
‘মুজিববর্ষের অঙ্গীকার, পুলিশ হবে জনতার’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে মুজিববর্ষকে স্মরণীয় করে রাখতে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ পেশাগত দায়িত্বপালনের পাশাপাশি সামাজিক দায়বদ্ধতা থেকে বিভিন্ন প্রকার সামাজিক, মানবিক ও উৎসাহমূলক গণমুখী কার্যক্রমে ভূমিকা রেখে চলেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় নারীর ক্ষমতায়ন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে তিনি চুয়াডাঙ্গায় এক ব্যতিক্রমধর্মী পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন।
তা হলো কোনো পরিবারে কন্যাশিশুর জন্ম হলেই সে পরিবারে পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে উপহার পৌঁছে দেওয়া। এরই ধারাবাহিকতায় চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপারের পক্ষ থেকে সদ্য ভূমিষ্ঠ আরও ২৪টি কন্যাশিশুর পরিবারকে পাঠানো হয়েছে ফুল, মিষ্টি ও নতুন পোশাক। গত বৃহস্পতিবার দর্শনা থানার ৬২ নং আড়িয়া গ্রামের সজিব হাসানসহ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে ২৪জন পুলিশ কন্ট্রোল রুমে ফোন করে জানান তাঁদের পরিবারে কন্যা সন্তানের জন্ম হয়েছে।
পুলিশ কন্ট্রোলরুমে কন্যা সন্তান ভুমিষ্ট হওয়ার সংবাদ জানার সঙ্গে সঙ্গে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলামের নির্দেশে কয়েকজন পুলিশ সদস্য প্রতিটা শিশুর জন্য একটি নিউবর্ণ বেবী প্যাকেজ নিয়ে তাঁদের বাসায় উপস্থিত হয়। পুলিশ সদস্যদের উপহারসহ উপস্থিতি নবাগত শিশুর পরিবারের সদস্যদের আনন্দ আরও বাড়িয়ে দেয়। কন্যাশিশুর পরিবারের সদস্যরা পুলিশ সুপারের পাঠানো উপহার পেয়ে আনন্দিত হয় এবং পুলিশ সুপারের আন্তরিকতা ও ভালবাসায় মুগ্ধ হয়ে তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করে।
এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম জাহিদ বলেন, ‘দেশের মোট জনগোষ্ঠির অর্ধেক নারী। এই বিপুল সংখ্যাক নারী পিছিয়ে থাকলে সামগ্রিক উন্নয়ন অসম্ভব।’ এসময় তিনি চুয়াডাঙ্গার সর্বস্তরের জনসাধারণের কাছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, নারী ও শিশু নির্যাতন প্রতিরোধ এবং লিঙ্গ বৈষম্য দূরীকরণে সহযোগিতা কামনা করেন।