ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ : হাসপাতালে ভর্তি
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গার বোয়ালমারিতে চম্পা খাতুন নামের এক গৃববধুকে নির্যাতনের পর ঝুলিয়ে রাখার অভিযোগ উঠেছে। গতকাল সোমবার রাত সাড়ে ৭টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের কর্তৃক নির্যাতিত গৃহবধু চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারি গ্রামের শান্তি ইসলামের স্ত্রী ও আলমডাঙ্গা উপজেলার বড় গাংনি আসমানখালীর জিকরাইলের মেয়ে।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, সোমবার সাংসারিক অশান্তি ও যৌতুকের টাকা দাবি করে চম্পার শ্বশুর চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার মোমিনপুর ইউনিয়নের বোয়ালমারি গ্রামের মকের ছেলে লাল্টু হোসেন (৬০), শ্বাশুড়ি ফেরদৌসী (৫৫), দুই দেবর সুমন (৩৫) ও মামুন (৩৩) চারজন মিলে গৃহবধু চম্পাকে মারধর করে ঘরের চালের সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ঝুলিয়ে রাখে। এ সময় প্রতিবেশিরা উত্তেজিত হয়ে পড়ার একপর্যায়ে চম্পার স্বামী শান্তি ইসলাম বাড়ি ফেরে। বাড়ি ফিরেই এলাকাবাসির কাছে মারধরের ব্যাপারে জানতে পেরে বাড়িতে ঢুকতে যেয়ে দেখে ঘরে তালা দেয়া। একপর্যায়ে ঘরের পিছনের জানালা দিয়ে তাকালে দেখতে পারে তার স্ত্রী চম্পা গলায় ওড়না বাধা অবস্থায় চালের বাশেঁর সাথে ঝুলছে। এ সময় শান্তি ঘরের জানালা ভেঙ্গে ঢুকে চম্পাকে নিচে নামায়। চম্পার বেহুশ দেহ দেখে শান্তি তাকে মৃত ভেবে চম্পার বাপের বাড়ির সদস্যদেরকে মোবাইল ফোনে জানালে দ্রুত চম্পার পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছায় ও চম্পাকে উদ্ধার করে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি করে। হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় চম্পার জ্ঞান ফেরে।
এদিকে, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় নির্যাতনের ঘটনাটির ব্যাপারে জানালে এসআই বিএম আফজাল হোসেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এসে চম্পা ও তার পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলে। এ ঘটনার ব্যাপারে এসআই বিএম আফজাল হোসেনের কাছে জানতে চাইলে তিনি চম্পা খাতুন ও তার পরিবারের বরাত দিয়ে বলেন- শ্বশুর বাড়ির সদস্যদের কর্তৃক চম্পা খাতুন নামের এক গৃহবধুকে নির্যাতনের ব্যাপারে জানতে পেরেছি। আহত চম্পা খাতুনের পরিবারের পক্ষ থেকে থানায় অভিযোগ করলে এ ব্যাপারে আইনানুগ ব্যবস্থা নেয়া হবে। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত আহত গৃহবধু চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধিন অবস্থায় ছিল। তার পরিবারের পক্ষ থেকে মামলার পরিকল্পনা চলছিল।