বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে শেখ হাসিনা সরকারের পতন হয়। সরকার পতনের এই আন্দোলনে অসংখ্য ছাত্র-জনতা ও পুলিশ সদস্য নিহত হয়। এ অবস্থায় গত ৬ আগস্ট কর্মবিরতির ঘোষণা দেয় ‘বাংলাদেশ পুলিশ অধস্তন কর্মচারী’ ব্যানারে পুলিশের একটি অংশ। গতকাল ওই আন্দোলনের সাথে একাত্মতা ঘোষণা করে নিহত পুলিশ সদস্যদের হত্যার বিচারসহ ১১ দফা দাবিতে অনির্দিষ্টকালের জন্য কর্মবিরতি ঘোষণা করে চুয়াডাঙ্গার অধস্তন পুলিশ সদস্যরা। কর্মবিরতিতে যাওয়ার আগে জেলা জজ, জেলা প্রশাসকের বাসভবন, ট্রেজারিতে নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশ সদস্যরা চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে ফিরে যান। পরে বিকেলে চুয়াডাঙ্গা পুলিশ লাইনে জেলার ঊর্ধ্বতন পুলিশ কর্মকর্তাদের সামনেই কর্মবিরতি ঘোষণাসহ বিভিন্ন দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন উপস্থিত পুলিশ সদস্যরা।
কর্মবিরতিতে যাওয়া পুলিশ সদস্যদের অনেকেই নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, সরকারের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়ন করতে পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা জনগণের কাছে পুলিশ সদ্যদের ভিলেন বানিয়ে ফেলেছে। তারা এই প্রথা থেকে বের হতে চান। পুলিশ জনগণের জন্য আন্তরিকভাবে কাজ করতে চায়। কোনো দলের অ্যাজেন্ডা বাস্তবায়নে বাংলাদেশের জনগণের কাছে আর ভিলেন হতে চায় না। এ বিষয়ে জানতে জেলার একাধিক পুলিশ কর্মকর্তার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলেও কাউকে ফোনে পাওয়া যায়নি।