দামুড়হুদায় চিত্রা নদী ও গোপালখালী খাল পুনঃখননকাজের উদ্বোধনকালে এমপি টগর
নিউজ ডেস্ক:দেশের ৬৪টি জেলায় অভ্যন্তরস্থ ছোট নদী খনন এবং জলাশয় পুনঃখনন প্রকল্পের প্রথম পর্যায়ের আওতায় দামুড়হুদা উপজেলার চিত্রা নদী ও গোপালখালী খালের পুনঃখননকাজ উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুর সাড়ে ১২টায় এ কাজের উদ্বোধন করা হয়।
দর্শনা-মুজিবনগর সড়কের গোপালখালী খালের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার। প্রধান অতিথি হিসেবে ড্রেজার দিয়ে মাটি কেটে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর খননকাজের উদ্বোধন করেন। এর মধ্য দিয়ে দামুড়হুদা উপজেলায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে ২৩ কিলোমিটার গোপালখালী খাল এবং চিত্রা নদীর ১৫ ফুট গভীর ও ১৫-৩০ মিটার প্রস্থে খননকাজ শুরু হলো। আগামী ২০২০ সালের ডিসেম্বরে খননকাজ সমাপ্ত হবে বলে জানা গেছে। এ ছাড়া ২ শ কোটি ৭৫ লাখ ৬৯ হাজার ৪২০ টাকা ব্যয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলায় ১৪টি নদীর মধ্যে চিত্রা, ভৈরব ও নবগঙ্গা নদী খনন করা হবে।
সাংসদ হাজি আলী আজগার টগর বলেন, ‘বর্তমান সরকারের তিন মেয়াদে বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনা নদী ও খাল খননের সঙ্গে নদী-খালের দুই পাড়ে বনায়ন করে দেশের জীববৈচিত্র রক্ষায় উদ্যোগ নিয়েছেন। নদী-খাল পুনরুজ্জীবিত করে মৎস্য সম্পদ বৃদ্ধিসহ জীববৈচিত্র্য সংরক্ষণ করা হবে। আগামী ২০৪১ সালের মধ্যে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন সোনার বাংলা গড়ে বিশ্বের বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর প্রত্যয় নিয়েছেন তিনি। নেত্রীর পাশে থেকে আমরা সবাই একটি সমৃদ্ধশালী দেশ গঠনে ভূমিকা রাখব।’
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পুলিশ সুপার জাহিদুল ইসলাম, জেলা পরিষদের সাবেক প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মন্জু, দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান আলী মুনছুর বাবু, দর্শনা পৌর মেয়র মতিয়ার রহমান ও পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী জাহিদুল ইসলাম। এ সময় কৃষকদের মধ্যে বক্তব্য দেন মোমিনুল ইসলাম ও আব্দুর রহমান কাবি প্রমুখ।