৬০ হেক্টর জমি পানিতে নিমজ্জিত
মোঃ ইকবাল হোসাইন, নাটোর প্রতিনিধিঃ কয়েকদিন টানা ভারি বর্ষণে আত্রাই এবং গুড়নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পেয়ে চলনবিলে প্রবেশ করছে। এতে সিংড়া উপজেলার আনন্দনগর, বেড়াবাড়ি, কালিনগর, সারদানগর, হুলহুলিয়া, চৌগ্রাম, পাটকোল,নিংগইন,বালুভরা, দমদমা সহ সিংড়ার বিভিন্ন বিলে বন্যার পানি প্রবেশ করায় ধান,ভুট্টা সহ ৬০ হেক্টর ফসলী জমি পানিতে নিমজ্জিত হয়ে আছে।
প্রতিকুল আবহাওয়া অপরদিকে আগাম বন্যার পানি জমিতে ঢুকে পড়ায় কৃষকরা দিশেহারা হয়ে পড়েছে। অন্য দিকে অবিরাম বৃষ্টির কারনে শ্রমিক সংকট দেখা দিয়েছে। কৃষকরা মাঠে পাকা ধান কাটতে পারছে না। সব মিলিয়ে চলনবিলের কৃষকের মনে এখন আতংক বিরাজ করছে।।
ইতিমধ্যে তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এমপির সার্বক্ষনিক নির্দেশনায় উপজেলা প্রশাসন,স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও কৃষি বিভাগ কৃষকদের পরামর্শ দিয়ে যাচ্ছে। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শন করছে।
সরকারী হিসেবে মতে, উপজেলার নিন্ম এলাকার ৬০ হেক্টর জমি পানির নিচে নিমজ্জিত। পানিবন্দি আরো ৩০০ হেক্টর জমি। আশংকায় রয়েছে আরো প্রায় ৬ হাজার হেক্টর জমি।
ফসলী জমি রক্ষায় স্থানীয় প্রশাসন,জনপ্রতিনিধি সহ কৃষকরা গুড়নদী থেকে বিলের প্রবেশমুখ জোড়মল্লিকা,পাটকোল, নিংগইন,বালুভরা ও তেলিগ্রাম গ্রামে বাঁধ নির্মাণ করেছে। সকাল থেকে দীর্ঘ রাত পর্যন্ত সেই বাঁধ জনপ্রতিনিধি ও এলাকাবাসীদের পাহারা দিতে দেখা গেছে।
উপজেলার শ্রমিক সংকটে প্রতিমন্ত্রী পলকের নির্দেশে ছাত্রলীগ কর্মীরা ও কৃষকদের পাশে দাঁড়াচ্ছেন। স্থানীয় ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের কৃষকদের জমিতে জমিতে গিয়ে ধান কাটতে দেখা যাচ্ছে।
এলাকাবাসী জানান, টানা কয়েক দিনের ভারি বৃষ্টিতে সিংড়া উপজেলার আত্রাই এবং গুড়নদীর পানি বেড়ে ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে। নদীতে পানি বাড়ছে। আপাতত (বুধবার) বৃষ্টি হচ্ছে না। কদিন তীব্র রোদ হলে কৃষকের চিন্তা অনেকাংশে কমে যাবে।
উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা সাজ্জাদ হোসেন জানান, আত্রাই নদীর পানি অস্বাভাবিক বৃদ্ধি পাওয়ায় চলনবিলে প্রবেশ করছে। এতে প্রায় ৬০ হেক্টর জমি নিমজ্জিত হয়েছে। তবে বাঁধ দেয়ায় এখন আর ঢুকতে পারছে না। তবে আবারো ভারি বর্ষণ হলে ফসলের ব্যাপক ক্ষয় ক্ষতি হবে।
উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোহাম্মদ নাজমুল আহসান বলেন, টানা বর্ষণের কারনে নদীর পানি বেড়ে গিয়ে চলনবিল এলাকায় পানি প্রবেশ করছিলো। তিনটি স্থানে তাৎক্ষণিকভাবে বাঁধ নির্মাণের ফলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসছে। এছাড়াও স্থানীয়ভাবে অনেক এলাকার ফসল রক্ষায় কৃষকরা বাধ নির্মান করেছে।