বিপ্লব নাথ (চট্টগ্রাম) : মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে হত্যাযজ্ঞ ও নির্যাতন যতো বাড়ছে চট্টগ্রাম মেডিকেলে কলেজ হাসপাতাল ও আশপাশের প্রাইভেট ক্লিনিকে দীর্ঘ হচ্ছে পালিয়ে আসা গুলিবিদ্ধ ও আগুনে ঝলসানো রোহিঙ্গাদের সংখ্যা। এ পর্যন্ত আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি হয়েছে শিশু, নারী, বৃদ্ধসহ প্রায় শত এর বেশি রোহিঙ্গা। আহতদের সেবা দিতে মানবিক দৃষ্টিকোণ বিবেচনায় আপ্রাণ চেষ্টা করছেন চিকিৎসকরা।
গুলিবিদ্ধ বা আহত অবস্থায় বাংলাদেশে এসে হাসপাতালে ভর্তি হয়ে সৌভাগ্যক্রমে বেঁচে গেলেও এখন তার সামনে অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ। দেশে সেনাবাহিনীর নির্যাতনের মুখে ফেলে আসা সন্তানরা বেঁচে আছে , নাকি মরে গেছে তাও জানতে পারছে না বাংলাদেশে পালয়ে আসা রোহিঙ্গারা।
হাসপাতালে প্রতিদিন নতুন করে দীর্ঘ হচ্ছে দগ্ধ ও গুলিবিদ্ধ রোহিঙ্গাদের সারি। চাপ সামাল দিতে না পেরে বাধ্য হয়ে মেঝে, সিঁড়ি কিংবা বারান্দায় চিকিৎসা দিচ্ছেন তাদের।
মৃত্যুর হাত থেকে বেঁচে আসারা জানালেন , মিয়ানমারের সেনাবাহিনী নির্মম নৃশংসতার কথা। নানা সীমাবদ্ধতা ও প্রতিকূলতা পরও মানবিক দৃষ্টিকোণ থেকেই সেবা দিয়ে যাচ্ছেন চিকিৎসক ও হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
চমেক পরিচালক ব্রিগ্রেডিয়ার জেনারেল মোহাম্মদ জালাল উদ্দীন জানান, ‘এখানে যত রোগী এসেছে বেশিরভাগ রোগী গান শট ইনজুরি। দু-একজন আছে সড়ক দুর্ঘটনায় আহত। আর একটা কেস আছে লিভার ক্যান্সারের। অর একটা কেস আছে হেপাটাটিস ভাইরাস আক্রান্ত। আমাদের সমস্ত সামর্থ্য দিয়েই তাদের চিকিৎসা দিচ্ছি।’
রোহিঙ্গারা সুস্থ হওয়ার পর তাদের ব্যাপারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী সিদ্ধান্ত নিবে বলে জানায় চমেক হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।