জিয়াবুল হক, কক্সবাজার প্রতিনিধি:
কক্সবাজারের চকরিয়ায় মহামারি করোনা ভাইরাস সংক্রমণরোধে উপজেলা প্রশাসনের নির্দেশনা লকডাউন মানছে না কেউ, রাস্তাঘাটে আগের তুলনায় বেশী জনসমাগম । করোনা ভীতিকে উপেক্ষা করে প্রতিদিনই লোকজনের জনস্রোত বেড়েই চলেছে।
মঙ্গলবার (২৮ এপ্রিল) সকালে ৯টার দিকে চকরিয়া পৌরশহর ঘুরে দেখা গেছে, আগের তুলনার চেয়ে রাস্তাঘাটে প্রতিদিনই চলাচল করছে ইজিবাইক, অটোভ্যান, সিএনজি, মটরসাইকেলসহ নানা ধরণের যানবহন। মানুষজন অবাধে চলাচল করছেন স্থানীয় বাজার ও রাস্তাঘাটে। কেউই সামাজিক দূরত্ব মেনে চলছেন না। যে যার মত ঘোরাফেরা করছেন। সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে প্রশাসন অধিকাংশ কাঁচা ও মাছ বাজার স্থানান্তর করে খোলা মাঠে সরিয়ে নিলেও বিন্দুমাত্র তা কাজে আসছে না। অবস্থা আগের থেকে আরো ভয়ানক রুপ নিচ্ছে। প্রশাসনের এ উদ্যোগকে কেউই আমলে নিচ্ছে না।
সূত্রে জানা যায়, পৌরশহরে বিভিন্ন সড়কে ছোট ছোট যানবাহন চলাচল করছে। আইনশৃঙ্খলা এমন অবস্থায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসনকে আরও কঠোর হতে হবে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনে কারফিউ জারি করতে হবে। এ অবস্থায় পরিস্থিতি ভয়াবহ রূপ নেয়ার আগেই মানুষকে ঘরে আটকে রাখতে কঠোর হতে হবে।
পৌরশহরে এক ব্যবসায়ী জানান, করোনা সংক্রমণরোধে সামাজিক দূরত্ব তো দূরের কথা মানুষের মধ্যে নেই কোন সতর্কতা। অন্যদিকে নিত্য প্রয়োজনীয় দোকান ছাড়াও বিভিন্ন দোকানেও চলছে কেনাবেচা। পুলিশ ও সেনাবাহিনী গাড়ির শব্দ পেলেই পড়ে যাচ্ছে দোকানের সার্টার।
এ ব্যাপারে চকরিয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হাবিবুর রহমানের সাথে কথা হলে তিনি বলেন, পুলিশ প্রথম থেকেই কঠোর অবস্থানে রয়েছে। করোনা মোকাবেলায় পুলিশের পক্ষ থেকে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করতে আপ্রাণ চেষ্টা চালানো হচ্ছে। চকরিয়া বিভিন্ন রাস্তায় লোকসমাগম ঠেকাতে পুলিশের পক্ষ থেকে বসানো হয়েছে চেকপোস্ট। কেউ যাতে লকডাউন হওয়া ওই বাড়িতে অবাধে যাতায়াত করতে না পারে সেটি মনিটরিং করছে পুলিশ।