নিউজ ডেস্ক:
একুশে আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলায় খালেদা জিয়ার ভাগ্নে লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) সাইফুল ইসলাম ডিউকসহ চার আসামি আত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
গতকাল সোমবার ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে বিচারক শাহেদ নুরুদ্দিনের প্রশ্নের উত্তরে নির্দোষ দাবি করে তারা বিচার প্রার্থনা করেন।
নির্দোষ দাবি করা অপর আসামিরা হলেন- প্রাক্তন দুই আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা ও শহিদুল হক এবং প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম। সোমবার নির্দোষ দাবি করা এ চারজনই জামিনে ছিলেন।
বিচারক এ আসামিদের আত্মপক্ষ শুনানি গ্রহণের আগে প্রত্যেকের বিরুদ্ধে আসা সাক্ষ্য পৃথকভাবে পড়ে শোনান। এরপর বিচারক তাদের পৃথকভাবে জানতে চান, তারা দোষী না নির্দোষ ? জবাবে তারা নিজেদের নির্দোষ দাবি করেন। এরপর তারা সাফাই সাক্ষ্য দেবেন কি না প্রশ্ন করলে তারা নিজেরা লিখিতভাবে সাফাই সাক্ষ্য দেবেন বলে জানান।
এরপর বিচারক আগামী ধার্য তারিখে তাদের লিখিত বক্তব্য আদালতে জমা দেওয়ার জন্য বলে আগামীকাল মঙ্গলবার ও বুধবার আত্মপক্ষ শুনানির পরবর্তী দিন ধার্য করেন। এর আগে মামলাটিতে ২৪ আসামি অত্মপক্ষ শুনানিতে নিজেদের নির্দোষ দাবি করেছেন।
সংশ্লিষ্ট ট্রাইব্যুনালের পারসোনাল অফিসার অলিউল ইসলাম এ সব তথ্য জানিয়েছেন। গত ৩০ মে মামলাটিতে সাক্ষ্য গ্রহণ সম্পন্ন হওয়ার পর আত্মপক্ষ শুনানির দিন ধার্য করেন।
মামলাটিতে আসামি খালেদা জিয়ার ভাগ্নে সাইফুল ইসলাম ডিউক, প্রাক্তন আইজিপি মো. আশরাফুল হুদা, শহিদুল হক ও খোদা বক্স চৌধুরী এবং মামলার তিন তদন্ত কর্মকর্তা তৎকালীন বিশেষ পুলিশ সুপার রুহুল আমিন, সিআইডির সিনিয়র এএসপি মুন্সি আতিকুর রহমান, এএসপি আব্দুর রশীদ ও প্রাক্তন ওয়ার্ড কমিশনার আরিফুল ইসলাম জামিনে রয়েছেন।
অন্যদিকে প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফুজ্জামান বাবর, প্রাক্তন উপমন্ত্রী আব্দুস সালাম পিন্টুসহ ২৪ জন কারাগারে এবং বিএনপির চেয়ারপারসনের বড় ছেলে তারেক রহমানসহ ১৯ জন পলাতক। এ মামলার আসামি হুজি নেতা মুফতি হান্নান ও জামায়াত নেতা আলী আহসান মুহাম্মাদ মুজাহিদের অন্য মামলায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর হয়েছে।
প্রসঙ্গত, ২০০৪ সালের ২১ আগস্ট আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জনসভায় গ্রেনেড হামলায় আওয়ামী লীগের মহিলাবিষয়ক সম্পাদিকা ও প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিল্লুর রহমানের স্ত্রী আইভি রহমানসহ ২৪ জনের নির্মম মৃত্যু হয়। গ্রেনেডের স্প্লিন্টারের আঘাতে আহত হন কয়েক শতাধিক। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান।