নিউজ ডেস্ক:দর্শনার শ্যামপুরে গৃহবধূ হাসিনা খাতুন ধর্ষণ মামলায় একজনকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড দিয়েছেন আদালত। গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে আসামীর অনুপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার। দন্ডিত পলাতক আসামী হলো- দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের মৃত শামসুর রহমানের ছেলে রফিকুল ইসলাম। মামলার বিবরণ সূত্রে জানা যায়, ২০১২ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি রাতে দামুড়হুদা উপজেলার দর্শনা শ্যামপুর গ্রামের গৃহবধূ হাসিনা খাতুনের স্বামীর অনুপস্থিতিতে বাড়িতে একা পেয়ে প্রতিবেশি রফিকুল ইসলাম জোরপূর্বক ভয়ভীতি দেখিয়ে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের এক পর্যায়ে গৃহবধূ চিৎকার করলে পরিবারের অন্য সদস্যরা এসে রফিকুলকে আটকের চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়। ঘটনার পরদিন গৃহবধূ বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে রফিকুলকে আসামী করে মামলা দায়ের করে। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই মোস্তাফিজুর রহমান মামলার তদন্ত কার্যক্রম শেষ করে ২০১২ সালের ৩১ মার্চ রফিকুলকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে দীর্ঘ ৬ বছর পর চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক জিয়া হায়দার আসামীর অনুপস্থিতিতে মঙ্গলবার দুপুরে জনাকীর্ণ আদালতে এ রায় ঘোষণা করেন। রায়ে আসামীকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। ধর্ষণের ঘটনার পর থেকে অভিযুক্ত রফিকুল ইসলাম পলাতক রয়েছে।