লামা প্রতিনিধি: লামায় গাছ কাটার মামলায় আজিজনগর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি মোহাম্মদ উল্লাহ ও ফোরকান নামের দুই জনকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত। শেখ মোহাম্মদ হোসাইন নামের এক ব্যক্তির দায়েরকৃত মামলায় জামিন নিতে গেলে উপজেলার সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মোহাম্মদ উল্লাহ আজিজনগর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রামের বাসিন্দা মৃত নুরুল ইসলামের ছেলে ও ফোরকান অহিদ পাড়ার বাসিন্দা রহমানের ছেলে। মামলার সংক্ষিপ্ত বিবরণে জানাযায়, ফোরকান (৪৫) ও মোহাম্মদ উল্লাহসহ (৪৮) ২৫ জন সংঘবদ্ধ হয়ে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে আমজাদ হোসেন নামের এক ব্যক্তির আজিজনগরস্থ সৃজিত বাগানে হামলা করে। এ সময় বিবাদীরা বাগানের বিভিন্ন অংশ হতে ১০-১২ বছর বয়সী ২০০টি একাশিয়া ও বেলজিয়াম যাহার আনুমানিক মূল্য ৮ লাখ টাকা এবং বিভিন্ন প্রজাতির আরও ১ লাখ টাকার ছোট গাছ কেটে নিয়ে যায়।
খবর পেয়ে পরদিন বিকালে বাগানে গিয়ে কেটে ফেলা গাছগুলো গাড়িতে বোঝাই করতে দেখে বিবাদীদেরকে বাধা প্রদান করেন মামলার বাদী শেখ মোহাম্মদ হোসাইন এমরান। বাঁধা দেওয়ায় মামলার বাদীকে ১, ২ ও ৩নং বিবাদী হত্যা করে লাশ গুম করবে বলে হুমকি প্রদান করেন। পরে এ ঘটনায় ১৮ জানুয়ারী শেখ মোহাম্মদ হোসাইন এমরান বাদী হয়ে ১১জনের নাম উল্লেখসহ সর্বমোট ২৭ জনের বিরুদ্ধে উপজেলা সিনিয়র জুড়িসিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে একটি মামলা করেন।
মামলার প্রেক্ষিতে আদালত আসামীদের বিরুদ্ধে সমন জারি করে। যথাসময়ে বিবাদীরা আদালতে হাজির না হওয়ায় পরবর্তীতে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে আদালত। এক পর্যায়ে রবিবার আদালতে হাজির হয়ে জামিন চাইলে আদালতের বিচার ফোরকান ও মোহাম্মদ উল্লাহর জামিন না মঞ্জুর করে জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ফোরকান ও মোহাম্মদ উল্লাহকে কারাগারে পাঠানোর সত্যতা লামা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. আনোয়ার হোসেন নিশ্চিত করেন।