নিউজ ডেস্ক:
চরম গরম। গরমের চোটে একটুতেই শরীর খারাপ।
অল্পতেই ক্লান্তি। কিন্তু এই গরমে মানুষ সবচেয়ে বেশি ভুগে থাকেন মাথা ব্যথায়!
চিকিৎসকদের কথায়, এই ধরণের মাথা ব্যথাকে বলে সামার হেডেক! তবে চিকিৎসকরা বলছেন, এই সামার হেডেকে দুমদাম ওষুধ নয়, বরং অল্প কিছু নিয়ম মেনে চললেই মাথা ব্যথা থেকে রেহাই পাওয়া যায়।
১. পর্যাপ্ত পানি পান : গরমের সময় ঘামের সাথে শরীর থেকে প্রচুর পরিমাণ তরল পদার্থ বেরিয়ে যায়। এর ফলে আমাদের শরীর হয়ে পড়ে পানিশূন্য। ফলে দেখা দেয় নানা রকম সমস্যা। মাথা ব্যথা, প্রস্রাবের রং হলুদ হয়ে যাওয়া, দুর্বলতাসহ আরও অনেক সমস্যা। এমনকি পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান না করলে শরীরও ক্লান্ত হয়ে পরে। তখনও এ সমস্যাগুলো আরও প্রকট রূপে দেখা দেয়। এজন্যই গরমের সময় পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তবে এক্ষেত্রে একজন প্রাপ্ত বয়স্কের প্রতিদিন অন্তত ৩ লিটার (১৩ গ্লাস) পানি পান করা উচিত।
২. রোদ থেকে সতর্কতা : গরমের সময় যারা বাইরে চলাফেরা করেন তাদের অবশ্যই ক্যাপ, সানগ্লাস, ছাতা ব্যবহার করা উচিত। কারণ এ সময় রোদ বা সূর্যের আলো সরাসরি মাথার উপরে পড়ার কারণেও মাথা ব্যথা হতে পারে।
৩. অতিরিক্ত গরমে ধূমপান : বাইরে প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও অনেককেই ধূমপান করতে দেখা যায়। এমনিতেই এটি স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর, তার উপর গরমের কারণে শরীর পানি শূন্য হয়ে পড়লে তখন এটি শরীরের জন্য মারাত্নক ক্ষতির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তখন খুব বেশি মাথা ব্যথা হতে পারে। তাই গরমের সময় ধূমপান না করাই ভাল। আর যদি ধূমপান করতেই হয় তাহলে ধূমপানের আগে অবশ্যই কিছুটা পানি পান করুন। সেইসাথে একটু বিশ্রাম নিন।
৪. ভারী কাজ করার সাবধানতা: গরমকালে শরীরের পানি শূন্যতার কারণে আমরা অল্প পরিশ্রমেই হাঁপিয়ে যায়। তাই যেকোনো ভারি কাজ করার সময় সব সময় পানি রাখতে হবে। তাহলে বেশি সমস্যায় পড়তে হবেনা।
৫. কোমল পানিও বা কোল্ড ড্রিঙ্কস : গরমের সময় তৃষ্ণার্ত হয়ে আমরা প্রায়ই কোল্ড ড্রিঙ্কস পান করি। এটা অবশ্যই শরীরের জন্য ক্ষতিকর। কারণ প্রায় সব ধরনের কোল্ড ড্রিঙ্কস এর মধ্যে অতিরিক্ত চিনি ও ক্ষতিকারক কেমিক্যাল মেশানো থাকে। এগুলো স্বাস্থ্যের জন্য অনেক বেশি ক্ষতিকর। এর ফলেই অনেক সময় দেখা দিতে পারে প্রচণ্ড মাথা ব্যথা। তাই এ সময়ে কোমল পানি পান করা একেবারেই নিরাপদ নয়।