রিপোর্ট : ইমাম বিমান: ঝালকাঠি জেলার সদর উপজেলার ১নং গাভা রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নে গভীর রাতে প্রশাসনের হস্তক্ষেপে বাল্যবিয়ে পন্ড। সদর উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার নাছরিন অাক্তার ও দেশবাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান এস এম মিজানুর রহমান সহ সদর থানার এস অাই শাহজালালের সহযোগীতায় ১নং গাভা ও ৩ নং নবগ্রাম ইউনিয়নে বাল্য বিয়ে থেকে রক্ষা পেল ৯বম শ্রেনী পড়ুয়া দুই স্কুল ছাত্রী ।
এ বিষয় উপজেলা মহিলা বিষয়ক কার্যালয়ের প্রোগ্রাম অফিসার নাছরীন অাক্তার জানান গতকাল ২৩ নভেম্বর দিবাগত রাতে অামার কাছে ফোন অাসে সদর উপজেলার ১নং গাভা ইউনিয়নের বীর মহল গ্রামে একটি বাল্য বিয়ে হতে চলছে, সংবাদ পেয়ে রাত ১০ টায় ইউনিয়নের বীরমহল গ্রামে দেশবাংলা ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ও সদর থানার এস অাই শাহজালাল সহ তার নেতৃত্বে কয়েকজন পুলিশ নিয়ে ঘটনা স্থানে ছুটে যাই। ঘটনা স্থানে গিয়ে বাল্য বিয়ের প্রস্তুতি দেখতে পাই এবং সেখান থেকে অামরা মেয়েকে উদ্ধার করে বাল্য বিয়ে বন্ধ করে ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা মাছুম শেরোয়ানীর কাছে হস্তান্তর করি।
অপরদিকে মহিলা কর্মকর্তা নাছরিন অাক্তার অারো জানান, ২৪ নভেম্বর সকালে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুক ম্যাসেঞ্জারে অামার এক ফেইসবুক বন্ধুর মাধ্যমে জানতে পারি যে, সদরের ৩নং নবগ্রাম ইউনিয়নের শিমুলেশ্বর গ্রামে ৯বম শ্রেনীর এক ছাত্রীর বাল্য বিয়ে চলছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে অামি জেলা পুলিশ সদস্যদের জানাই। পরে নবগ্রাম পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ ও সদর থানার এস অাই মুজাম্মেল ও পুলিশ ক্যাম্পের এ এস অাই এ কে অাজাদ ছাত্রীর বাড়িতে গিয়ে বাল্য বিয়ের ঘটনার সত্যতা পাওয়ায় বাল্য বিয়ে বন্ধ করে দেন। সেখান থেকে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে ছাত্রীর বাবা, স্থানীয় বাবুর্চি রান্না করা রেখে পালিয়ে যায়। পরে ছাত্রীর মা সন্তানদের বাল্য বিয়ে দিব না মর্মে পুলিশের কাছে অঙ্গীকার নামা প্রদান করেন। ঘটনা স্থল থেকে ছেলের বাড়ী একই এলাকা হওয়ায় পুলিশ ছেলের বাড়ীতে গেলে ছেলে পালিয়ে যায়। এ বিষয় নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় একব্যক্তি জানান, বিয়ের ঘটক স্থানীয় উদচড়া গ্রামের শাজাহান হাওলাদারের ছেলে সাইফুল হাওলাদারের পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পুলিশ তার বাড়ী যাবার পূর্বে ছেলেকে দেয়ার জন্য দোকান থেকে অানা স্টীল সুকেস, বিয়ের খাট, অালনা সহ গাড়িতে বিয়ের সরঞ্জাম নিয়ে পালিয়ে যায়।