নিউজ ডেস্ক:
বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে দায়ের করা হত্যা ও রাষ্ট্রদ্রোহসহ ১১ মামলায় শুনানি পিছিয়ে আগামী ২৯ জুন দিন ধার্য করেছেন আদালত।
সোমবার ঢাকা মহানগর দায়রা জজ মো. কামরুল হোসেন মোল্লা সময়ের আবেদন মঞ্জুর করে এদিন ঠিক করেন।
মামলাগুলোর মধ্যে রয়েছে রাজধানীর দারুস সালাম থানার নাশকতার ৮টি, যাত্রাবাড়ী থানার ২টি ও রাষ্ট্রদ্রোহের ১টি মামলা। ১১ মামলার মধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার একটি হত্যা মামলায় অভিযোগপত্র গ্রহণের বিষয়ে শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল। অপর ১০ মামলা ছিল চার্জ গঠনের বিষয়ে শুনানির জন্য।
সোমবার সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়ার আদালতে হাজির হওয়ার জন্য দিন ধার্য ছিল। কিন্তু মামলাগুলোর মধ্যে রাষ্ট্রদ্রোহসহ অধিকাংশ মামলা সম্প্রতি হাইকোর্ট স্থগিতের আদেশ দিয়েছেন। এজন্য শুনানি পেছানোর জন্য সময়ের আবেদন করেন খালেদা জিয়ার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া, মাসুদ আহমেদ তালুকদার। অসুস্থতার কারণে খালেদা জিয়া আদালতে হাজির হতে পারেননি সময়ের আবেদনে সেটাও উল্লেখ করা হয়।
শুনানি শেষে বিচারক আগামী ২৯ জুন পর্যন্ত সময় মঞ্জুর করেন।
প্রসঙ্গত, মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের সংখ্যা নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্যে করার অভিযোগে গত বছর ২৫ জানুয়ারী আদালতে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলাটি দায়ের করা হয়।
এদিকে যাত্রাবাড়ী থানার মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০১৫ সালের ২৩ জানুয়ারি রাতে যাত্রাবাড়ীর কাঠেরপুল এলাকায় গ্লোরি পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসে পেট্রলবোমা হামলা হয়। এতে বাসের ২৯ যাত্রী দগ্ধ হন। পরে তাদের ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে ১ ফেব্রুয়ারি চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান নূর আলম (৬০) নামে এক যাত্রী।
এ ঘটনায় ২০১৫ সালের ২৪ জানুয়ারি খালেদা জিয়াকে হুকুমের আসামি করে যাত্রাবাড়ী থানায় মামলা করেন থানার উপপরিদর্শক এসআই কে এম নুরুজ্জামান। ওই বছরের ৬ মে খালেদা জিয়াসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন ডিবি পুলিশের পরিদর্শক বশির আহমেদ।
অন্যদিকে, ২০১৫ সালে দারুস সালাম থানা এলাকায় নাশকতার অভিযোগে আটটি মামলা দায়ের করা হয়। এই আট মামলায় বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে আসামি করা হয়।
গত বছরে বিভিন্ন সময়ে মামলাগুলোয় চার্জশিট দাখিল করে পুলিশ। সবগুলো মামলায় খালেদা জিয়াকে পলাতক দেখিয়ে তার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আবেদন করা হয়। পরে খালেদা জিয়া মামলাগুলোয় আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।