নিউজ ডেস্ক:
আপনাকে কেউ যদি বলে মুরগির ডিমের ক্যানসারের মতো মারণ রোগ সারাতে পারে, তাহলে? শুনতে অবাক লাগলেও এমনটাই দাবি জাপানের একদল গবেষকের। মুরগির বিশেষ এক ধরনের প্রজাতি থেকে এমন ডিম মিলবে, যা খেলে কখনও ক্যানসার হবে না, এমনটাই জানালেন তাঁরা।
দীর্ঘদিনের অনিয়ম ও অনিয়ন্ত্রিত জীবনধারার ফলে ক্যানসার হওয়ার ঝুঁকি বাড়ে। কিন্তু এবার সেই ভয়কেই দূর করতে চলেছেন ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অফ অ্যাডভান্সড ইন্ডাস্ট্রিয়াল সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজির গবেষকরা। নিয়মিত কিছু আপনি খেলেন, আর তারপর আর ক্যানসার হল না, এর চেয়ে ভাল কিছু তো হতে পারে না। আর নিয়মিত খাবারের মধ্যে আপামর বাঙালি থেকে আমব্রিটিশ প্রত্যেকেই ডিম খেতে ভালবাসেন। তবে এই ডিম পাওয়ার জন্য মুরগির জিনে একটু কারিকুরি করতে হবে। তবেই ক্যানসার প্রতিরোধ করতে পারবে ডিম। গবেষকরা মোরগের শুক্রাণুর জিনে, ডিএনএ-তে একটি বিশেষ বদল ঘটাচ্ছেন, এর ফলে পরবর্তী প্রজন্মে যে মুরগি বা মোরগ জন্মাবে, তার ডিম হবে ক্যানসার প্রতিরোধক। মুরগির ডিএনএ-তে সামান্য ওই বদলেই মারণ রোগের হাত থেকে মুক্তি মিলতে পারে।
বিভিন্ন ধরণের ক্যানসারের সঙ্গে লড়াই করার ক্ষমতা থাকবে এই বিশেষ ডিমে।
ইন্টারফেরন বিটা নামে এক ধরনের প্রোটিন ব্যবহার করে পাওয়া যাবে এই বিশেষ ডিম। স্বল্পমূল্যে এবারে ক্যানসার প্রতিরোধক ওষুধও তৈরি করা যাবে, মত ওসাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক-গবেষক হিরোনবু হোজোর। যদিও কয়েক গ্রাম ইন্টারফেরনের দাম অত্যন্ত বেশি। তাও প্রায় ৫৮ হাজার টাকা। কিন্তু বিজ্ঞানীদের দাবি, খুব তাড়াতাড়ি এই বাধাও পেরোনো সম্ভব। ভবিষ্যতে ভারতের বাজারেও এই ডিম আসার সম্ভাবনা রয়েছে। ইতিমধ্যেই বিশেষ তিনটি মুরগির ক্ষেত্রে এই পরীক্ষা সফল হয়েছে। গবেষকরা ইন্টারফেরন বিটা প্রোটিনটি নিজেরাই নির্মাণের চেষ্টা করছেন। যা বর্তমান মূল্যের তুলনায় প্রায় দশ শতাংশেরও কম দামে বিক্রি করবেন তাঁরা। জাপানের ক্ষেত্রে এই জাতীয় দ্রব্য বাজারজাত করার জন্য কঠোর আইন রয়েছে। মনে করা হচ্ছে, সেই সব বাধাও খুব দ্রুত অতিক্রম করা সম্ভব হবে। সংবাদ প্রতিদিন।