চুয়াডাঙ্গার মুন্সিপাড়ায় অত্যাধুনিক পানির পাম্প স্থাপন কাজ শুরু
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বুজরুক গড়গড়ী মুন্সিপাড়ায় ৪ শ মিটার গভীরতার একটি অত্যাধুনিক নলকূপ স্থাপনকাজ পরিদর্শন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাইট পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যাধুনিক ও অধিক ক্ষমতা-সম্পন্ন নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসী তথা ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মানুষের পানি সমস্যা লাঘব হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ অত্যাধুনিক নলকূপ স্থাপন করা হবে। কিন্তু এ অঞ্চলটি উঁচু হওয়ায় পানি সরবরাহে কিছুটা সমস্যা ছিল। এ কারণে এখানে নলকূপ স্থাপনকাজ আগে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কাজ বাস্তবায়ন হলে আর কোথাও সুপেয় পানির সমস্যা থাকবে না। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডের বুজরুক গড়গড়ী মুন্সিপাড়ায় ৪ শ মিটার গভীরতার একটি অত্যাধুনিক নলকূপ স্থাপনকাজ পরিদর্শন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সঙ্গে মতবিনিময় করেছেন পৌর মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু। গতকাল সোমবার বিকেল পাঁচটার দিকে জনপ্রতিনিধি ও স্থানীয় লোকজনকে সঙ্গে নিয়ে সাইট পরিদর্শন শেষে মতবিনিময় সভায় মেয়র বলেন, সুপেয় পানির সমস্যা সমাধানে এ অঞ্চলের মানুষের দীর্ঘদিনের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে অত্যাধুনিক ও অধিক ক্ষমতা-সম্পন্ন নলকূপ স্থাপনের কাজ শুরু করা হয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়িত হলে চুয়াডাঙ্গা পৌরবাসী তথা ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মানুষের পানি সমস্যা লাঘব হবে। প্রতিটি ওয়ার্ডেই এ অত্যাধুনিক নলকূপ স্থাপন করা হবে। কিন্তু এ অঞ্চলটি উঁচু হওয়ায় পানি সরবরাহে কিছুটা সমস্যা ছিল। এ কারণে এখানে নলকূপ স্থাপনকাজ আগে করা হচ্ছে। পর্যায়ক্রমে এ কাজ বাস্তবায়ন হলে আর কোথাও সুপেয় পানির সমস্যা থাকবে না। মেয়র জিপু চৌধুরী আরও বলেন, ‘আমি দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকেই আপনাদের সঙ্গে নিয়ে পৌরসভার ব্যাপক উন্নয়নকাজ শুরু করেছি। আপনারা ইতিমধ্যে দেখতে পাচ্ছেন, আপনাদের এলাকাতেই প্রায় কয়েক কোটি টাকার কাজ বাস্তবায়ন করা হয়েছে এবং এখনো চলমান আছে। আপনাদের সহযোগিতা থাকলে আগামীতে আরও উন্নয়নকাজ করা সম্ভব হবে। চুয়াডাঙ্গা পৌরসভাকে একটি আধুনিক মডেল পৌরসভাতে রূপান্তরিত করব, ইনশা আল্লাহ্।’নিজেদের সমস্যার কথা তুলে ধরেন স্থানীয় বাসিন্দা গাজন আলী, আবুল কাশেম ও তাজু মিস্ত্রী। তাঁরা বলেন, ‘আমরা পৌর এলাকায় বসবাস করলেও এত দিন আমাদের এলাকায় ভালো ড্রেনেজ ব্যবস্থা ছিল না, রাস্তার সমস্যা ছিল। এখন ড্রেন হচ্ছে ও রাস্তা হচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা ছিল নিরাপদ ও সুপেয় পানির সমস্যা। পাম্প স্থাপনকাজ বাস্তবায়নের মধ্য দিয়ে সে সমস্যাও সমাধান হচ্ছে।’এ সময় উপস্থিত ছিলেন পৌরসভার প্যানেল মেয়র মুন্সি রেজাউল করিম খোকন, কাউন্সিলর জাহাঙ্গীর আলম, কাউন্সিলর শাহিনা আক্তার রুবি, সহকারী প্রকৌশলী হাফিজুর রহমান কাওছার, সহকারী প্রকৌশলী (পানি) এ এইচ এম সাহীদুর রশীদ, মাস্টার ডিলার বাদশা মিয়া, সংশ্লিষ্ট কাজের ঠিকাদার মেসার্স বোরিং অ্যান্ড কনস্ট্রাকশনের মালিক প্রকৌশলী জামিল আহম্মেদ, সহকারী মাস্টার ডিলার আব্দুল জলিল, বুজরুক গড়গড়ী মাদ্রাসার মুহতামিম আব্দুর রাজ্জাক, হেলাল উদ্দিন, সামসুল মাস্টার, মেজবাউল হক বাবলু, আব্দুর রহিম, হাজি মিজানুর রহমান, ইমাম নুরুল হুদা, জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মো. জানিফ, যুগ্ম সাধারণ সাম্পাদক জাকির হুসাইন জ্যাকি, ছাত্রলীগের নেতা জাহাঙ্গীর আলমসহ গণ্যমান্য ব্যক্তিরা। প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা জানান, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের তত্ত্বাবধানে জাপানি দাতা সংস্থা জাইকার অর্থায়নে প্রায় ৭০ লাখ টাকা ব্যয়ে এ গভীর নলকূপটি স্থাপন করা হচ্ছে। এ কাজ শেষ হলে ২ নম্বর ওয়ার্ড এলাকায় সুপেয় পানির সরবরাহ করা সম্ভব হবে এবং জীবনযাত্রার মান বৃদ্ধি ও আর্থসামাজিক ব্যবস্থার উন্নয়ন হবে।