রিপোর্টঃ ইমাম বিমান: কোটি টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির তথ্য গোপনের মামলায় ঝালকাঠি সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপ-সহকারী প্রকৌশলী নুরুল আমিন সিকদারকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। ১০ আগস্ট বৃহস্পতিবার বেলা ১টার দিকে উপ-প্রকৌশলী নরুল অামিন বরিশালের সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন অাবেদন করলে আদালতের বিজ্ঞ বিচারক সৈয়দ এনায়েত হোসেন প্রকৌশলীকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
বরিশাল জেলার উজিরপুর উপজেলার ইয়াকুব আলী সিকদারের ছেলে বরিশাল শহরের লাচিন ভবনের মালিক সড়ক ও জনপদ বিভাগ ঝালকাঠি জেলা শাখার উপ-সহকারী প্রকৌশলী নরুল অামিন সিকদার।
এ বিষয় আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এড. মো. গিয়াস উদ্দিন কাবুল জানান, ২০০৮ সালের ২৩ ডিসেম্বর বরিশাল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) থেকে প্রকৌশলী নুরুল আমিনের কাছে স্থাবর ও অস্থাবর সম্পত্তির হিসাব চাওয়া হয়। সেখানে তিনি ৪৮ লাখ ৬২ হাজার ১৮ টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদের কথা উল্লেখ করায় পরবর্তীতে দুদকের তদন্তে বেড়িয়ে আসে প্রকৌশলী নুরুল আমিন ১ কোটি ৩৩ লাখ ৩৯ হাজার ৬৪১ টাকার তথ্য গোপন করেছেন। তথ্য গোপনের অভিযোগ এনে ২০০৯ সালের ২৮ অক্টোবর বরিশাল
( দুদক ) দূর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এএইচ রহমত উল্লাহ বাদী হয়ে বরিশাল মেট্রোপলিটন কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা করেন। ২০১০ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর মামলার একমাত্র আসামি প্রকৌশলী নুরুল আমিনকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেন তদন্ত কর্মকর্তা। এরপর উচ্চ আদালত এবং নিম্ন আদালত থেকে মামলা স্থগিত করান আসামি। প্রকৌশলীকে কারাগারে প্রেরণের সাথে মামলাটিও বিচারের জন্য বিভাগীয় স্পেশাল জজ অাদালতে পাঠানো হয়েছে।