নিউজ ডেস্ক:দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছিতে মা-ছেলেকে অপহরণ করে ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করার অভিযোগ উঠেছে একই গ্রামের খোকন ও মানিকের বিরুদ্ধে। গতকাল সকালে অপহৃত মেয়ের বাবা জালালুদ্দিন মুক্তিপণ আদায়ের কথা জানায়। এ ব্যাপারে অপহৃত নারীর স্বামী স্বপন আলী বাদি হয়ে দামুড়হুদা মডেল থানায় লিখিত অভিযোগ করেছেন।পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, দামুড়হুদা উপজেলার কুড়ুলগাছি গুলশানপাড়ার জালাল উদ্দিনের মেয়ে সজনী খাতুনের সাথে আনুমানিক ৩ বছর আগে বিয়ে হয় একই উপজেলার দর্শনা পৌরসভার রামনগরের স্বপন আলীর সাথে। ৩ বছরের সংসার জীবনে কোল জুড়ে আসে একটি পুত্রসন্তান। ভালই চলছিল তাদের সংসার। মেয়ের বাবা জালাল উদ্দিন জানান, গত ১৯ই ডিসেম্বর সকালে ছেলেসহ আমার মেয়ে আমার বাড়িতে বেড়াতে আসে এবং তার একদিন পরই ছেলেকে নিয়ে শাশুড়ী বাড়ি ফেরত যায়। কিন্তু আমার জামাই জানায়, সজনী বাড়ি যায়নি, এতে আমি চিন্তিত হয়ে পড়ি।প্রতিবেশী ফলেহারের ছেলে তারিকুলের স্ত্রী জানান, অনেকদিন আগে তার ব্যবহৃত মোবাইল ফোনটি চুরি হয়ে যায়। নিখোঁজ হওয়ার ঘটনার একদিন পর সজনীর মায়ের ফোনে তারিকুলের স্ত্রীর চুরি হয়ে যাওয়া নাম্বার (০১৯৯৮-৫৬৭৫২২) থেকে ফোন আসে এবং বলা হয় তাদের মেয়ে এবং নাতি তাদের কাছে আছে। তাদেরকে সুস্থভাবে ফেরত নিতে হলে ৫০ হাজার টাকা দিতে হবে। যদি না দিই তাহলে তাদেরকে মেরে ফেলা হবে। তাদের এই কথা বার্তাগুলো কৌশলে মোবাইলে রেকর্ড করে রেখে স্থানীয় ব্যক্তিদের শোনানো হলে অপহরণকারীকে চিনে ফেলে এবং ঘটনার সত্যতা খোঁজার চেষ্টা চালায় এলাকাবাসী। খোঁজ নিয়ে জানা যায়, একই পাড়ার বজলুর রহমানের ছেলে খোকন মিয়া ও কোলের খোকার ছেলে মানিক মিয়া ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত। তারা ৫০ হাজার টাকা মুক্তিপণ আদায়ের জন্য মা-ছেলেকে অপরহরণ করেছে বলে অভিযোগ সজনীর পরিবারের। এই ঘটনার মূল হোতা কোলের খোকার ছেলে মানিক মিয়া এবং বজলু রহমানের ছেলে খোকন। এলাকায় সচেতন মহলের এ ধরনের চাঁদাবাজদের আইনের আওতায় এনে কঠিন শাস্তির দাবি জানিয়েছেন।