স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
অপহরনের ৮ দিন পরও কালীগঞ্জে নবম শ্রেনীর এক স্কুল ছাত্রীকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর পিতা ৭ জনের নাম উল্লেখ করে বুধবার কালীগঞ্জ থানাতে একটি অপহরণ মামলা দায়ের করেছেন। অপহৃত ছাত্রীর পিতা কালীগঞ্জ উপজেলার চাপালী গ্রামের খায়রুল ইসলাম থানাতে দায়েরকৃত এজাহারে উল্লেখ করেছেন, গত ২৫ আগস্ট সকালে তার কন্যা সলিমুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের নবম শ্রেনীর ছাত্রী মারিয়া খাতুন উপবৃত্তির টাকা আনতে বিদ্যালয়ে যায়। কিন্তু সন্ধা রাত পেরিয়ে গেলেও তার কন্যা বাড়ীতে না আসায় পরদিন তিনি থানাতে একটি জিডি করেন। পরবর্তীতে তারা জানতে পারেন, ওইদিন স্কুল থেকে বাড়ী ফেরার পথে দুপুর ১ টার দিকে শহরের মুসলিম বেকারীর সামনে থেকে তার কন্যাকে অপহরণ করা হয়েছে। একদল অপহরনকারী তার কন্যাকে জোরপূর্বক একটি মাইক্রোবাসে করে তুলে নিয়ে গেছে। এরপর তিনি স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের স্বরনাপন্ন হয়ে ঘটনাটি খুলে বলেন। কিন্তু তারাও মেয়েটিকে উদ্ধারে ব্যর্থ হওয়াতে অবশেষে ছাত্রীর পিতা খায়রুল ইসলাম বাদী হয়ে ৭ জনের নাম উল্লেখ করে থানাতে একটি অপহরণ মামলা করেন। এদিকে গত ৮ দিনেও অপহৃত ওই ছাত্রী উদ্ধার না হওয়াতে তাকে খুন, গুম বা পাচার করা হতে পারে আশংকায় তার পরিবারের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে। ওই মামলার তদন্তকারি কর্মকর্তা মঞ্জুরুল ইসলাম জানান, নিখোজের পরদিন ছাত্রীর অভিভাবক থানাতে একটি জিডি করেছিল। পরবর্তীতে অপহরনের বিষয়টি জানতে পেরে তারা অভিযুক্ত ৬ জনের নামে থানাতে একটি এজাহার দায়ের করেন। পুলিশ ঘটনার তদন্ত শেষে ওই ২ সেপ্টেম্বর মামলাটি রেকর্ড করেছেন। তিনি জানান, অপহৃত ওই ছাত্রীকে উদ্ধারের চেষ্টা চলছে।