নিউজ ডেস্ক:
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে গণপরিবহন চলাচলের ক্ষেত্রে সামাজিক দূরত্ব মানা হচ্ছে না লেগুনায়। একজন অন্যজনের গা ঘেঁষে বসা, মুখে মাস্ক-ব্যবহার না করার পুরোনো চিত্র দেখা গেছে এই গণপরিবহনে। গতকাল রোববার ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে এমন চিত্র দেখা যায়। ঝুঁকিপূর্ণ গণপরিবহনের তালিকায় রয়েছে লেগুনা। তুলনামূলক ছোট আকারের এই গণপরিবহনটির মাত্রাতিরিক্ত গতিতে ছুটে চলা ও অপক্ক চালক দিয়ে গড়ি চালানোর অভিযোগ রয়েছে পরিবহনটির বিরুদ্ধে। টানা ৬৭ দিন বন্ধ থাকার পর সরকারের পক্ষ থেকে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
দীর্ঘ ছুটির পর স্বাস্থ্যবিধি ও সামাজিক দূরত্ব মেনে গণপরিবহন চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়েছে। তবে সে দূরত্ব মানা হচ্ছে না লেগুনায়। প্রতিটি লেগুনায় চালকের পাশের আসনে দুইজন। পেছনে দিকে দুই পাসে পাঁচজন করে দশ জন, মোট ১২ জন যাত্রী পরিবহন উঠানো হচ্ছে। এতে প্রতি জনের মধ্যে এক ফুট তো দূরের কথা চার আঙ্গুলেরও দূরত্ব থাকছে না। বসছেন মুখোমুখী। ফলে স্বাস্থ্যবিধি বা সামাজিক দূরত্বের কিছুই মানা হচ্ছে না। আবার যাত্রীর মধ্যেও অসচেতনায় ঘাটতি নেই। কালীগঞ্জ থেকে বারোবাজার ও ঝিনাইদহ রুটে চলাচলকারী পরিবহনের কয়েকটি লেগুনায় মুখে মাস্ক ছাড়া যাত্রী চলাচল করতে দেখা গেখে। হাতে গোনা দুই একজনের মুখে মাস্ক থাকলেও বাকিদের মুখে নেই।
পরিচয় প্রকাশ না করার শর্তে পরিবহনটির একজন চালক বলেন, ‘আমরাও জানি সামাজিক দূরুত্ব মানা হচ্ছে না। কিন্তু কি করার আছে। লেগুনার বডিই ছয় ফুটের। এর মধ্যে তিন ফুট দূরে দূরে লোক বসায় কি করে? ওই হিসাবে যাত্রী নিতে গেলে এক টিপে চারজনের বেশি যাত্রী নেওয়া যায় না। যাত্রীদের অসাবধানতার কথা তুলে ধরে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কি যাত্রীদের মাস্ক কিনে দেব? এরা ভয় পায় না, মানে না। সকাল থেকেই দেখছি বহু লোকের মুখে মাস্ক নাই। এইখানে আমাদের কি করার আছে।’ এছাড়া এতদিন লকডাউন চললেও তার মধ্যেই কালীগঞ্জে রুটে চলাচল করেছে লেগুনা। সামাজিক দূরত্ব না মেনে চালকের আসনের পাশে দুইজন। পেছনে আসনে মুখোমুখী যাত্রী নিয়ে চলাচল করছে এই পরিবহনটি। এতে করে বাড়ছে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঝুঁকি।