অবশেষে চিকিৎসার দায়িত্ব নিল প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়
স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ
শুক্রবার বিকেলে ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ফুটফুটে এক কন্যা সন্তানের মা হয়েছেন অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী এক নারী। শুক্রবার রাত ৮ টার দিকে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে হাসপাতালে ছুটে যান ঝিনাইদহের জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ। তিনি হাসপাতালেই অজ্ঞাত ওই নারীর নবজাতককে বুকে তুলে নেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার সুবর্ণা রানী সাহা। ঝিনাইদহ জেলা প্রশাসক সরোজ কুমার নাথ বলেন, সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক ও পত্রিকার সংবাদের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় এ বিষয়ে অবগত হয়েছেন। বিষয়টির দেখভাল করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে আমাকে নির্দেশ দেয়া হয়েছে। খবর শুনে শুক্রবার রাতে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে যায়।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশে নবজাতক ও নবজাতকটির মায়ের সকল চিকিৎসার খরচ জেলা প্রশাসন বহন করবে। এসময় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো অথ প্রদান করা হয়। মা ও সদ্যজাত নবজাতকের চিকিৎসার জন্য সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হয়েছে বলেও জানান তিনি। এর আগে শুক্রবার সকালে প্রসব যন্ত্রনা শুরু হলে নিজ বাড়িতে আশ্রয় ও সেবাদানকারী উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের দিনমজুর আমজাদ-ছাকিরন দম্পতি স্থানীয় জনপ্রতিনিধি ও মিডিয়াকর্মিদের সহযোগীতায় কালীগঞ্জ হাসপাতালে ভর্তি করেন। বিকেল ৪ টার দিকে সন্তান ভূমিষ্ঠ হয়। কালীগঞ্জ হাসপাতালের মেডিকেল অফিসার আফসানা পারভিন জানান, ভুমিষ্ঠ হওয়ার আগে স্বভাবিক না থাকায় একটি অপারেশনের মাধ্যমে সন্তান বের করা হয়েছে। তবে মা ও নবজাতক এখন সুস্থ আছে। আনুমানিক ২২/২৩ বছরের পরিচয়হীন এক মানষিক প্রতিবন্ধি মহিলা উপজেলার কোলাবাজারে ঘোরাফেরা করতেন।
নিজের নাম-পরিচয় কিছুই বলতে পারেন না। গত কয়েকদিন আগে পরিচয়হীন এই প্রতিবন্ধি অসুস্থ অবস্থায় ময়ধরপুর গ্রামের রাস্তার পাশে পড়ে ছিল। ওই রাতেই গ্রামের কয়েক জন অসুস্থ মেয়েটিকে নিয়ে কালীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। কিন্ত কর্তব্যরত চিকিৎসক রোগী দেখেই বললেন মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা। এখন তার পর্যাপ্ত খাওয়া দাওয়া আর বিশ্রাম দরকার। দেয়া হয় প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা। এরপর বেশ খানিকটা সুস্থ হয়ে উঠলে হাসপাতাল থেকে নিয়ে এই অজ্ঞাত মানসিক প্রতিবন্ধী নারীকে নিজ বাড়িতে আশ্রয় দেন উপজেলার ময়ধরপুর গ্রামের মৃত সালামত আলীর ছেলে দিনমজুর আমজাদ আলী।