স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহ-
ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা বাজার এলাকায় ৭০ বছরের উর্ধে বয়সের ক্ষুধা পেটে অসুস্থ অসহায় উদভান্ত এক মা। নিয়তির নির্মম কষাঘাতে জর্জরিত হয়ে একমুঠো ভাতের জন্য কখনো মানুষের বাড়িতে, বাজারে, রাস্তায় অথবা কখনো ওলিতে গলিতে এই অসহায় মায়ের বিচরণ।
পরনে মলিন একটুকরো কাপড়, উদাস দৃষ্টিতে প্রতিনিয়ত খুঁজে ফেরে তার সেই চেনা মুখ গুলো। হয়তো তারও ছিল সাজানো গোছানো সুখের সংসার, ছেলে মেয়ে আত্বীয়-স্বজন। এখন তার আর কেউ নেই, কি নির্দয় নিদারুন মানবেতর জীবন-যাপন। তিনি শুধু দু’ বেলা একটু খাবারের জন্য রোদে পুড়ে বৃষ্টিতে ভিজে কোন বিত্তশালীর বাড়ির সামনে ঠায় দাঁড়িয়ে থাকে আর ফ্যালফ্যাল করে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকে একটু সহানুভূতির জন্য, একমুঠো ভাতের জন্য। রুগ্ন শরীর কথা ঠিকমত বলতে পারেন না।
স্থানীয়রা তার বাড়ি বা পরিবারের ঠিকানা বলতে পারেন না। মাঝে মধ্যে দেখা মিলে উপজেলার কোলা বাজার এলাকার রাস্তায় এবং মানুষের বাড়িতে বাড়িতে একমুঠো ভাতের জন্য অপেক্ষা করতে। এ ব্যাপারে কালীগঞ্জ উপজেলার কোলা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলাউদ্দিন-আল-আজাদ বলেন, আমিও ঐ বৃদ্ধ মহিলাকে কোলা বাজারে দেখেছি নাম ঠিকানা জানতে চেয়েছিলাম জবাবে উনি বলেন সহিদুল আমার ভাই আর আমার বাড়ি কোলায়।
এরপর আমি কোলা এলাকায় ঐ ধরনের কাউকে খোঁজ করে পায়নি। তিনি বলেন ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলায় কোলা নামে একটা গ্রাম আছে আমি সেখানোও লোক মারফৎ খোঁজ নিয়েছি কিন্তু কেউ সঠিক ভাবে তার পারিবার এবং বাড়ির সন্ধান দিতে পারেননি। অসহায় বৃদ্ধার সহযোগীতার বিষয়ে আমি মাসিক আইনশৃঙ্খলা মিটিংয়ে কথা বলেছি। আসলে আমাদের উপজেলায় এই ধরনের মিসকিনদের রাখার কোন ব্যবস্থা নেই।
তিনি আরো বলেন, সমস্যাটা হচ্ছে উনাকে ঠিকমত পাওয়া যায় না। একদিন দেখা মিললে পরবর্তি ৬দিন আর পাওয়া যায় না। আবার হঠাৎ করে দেখা মেলে একমুঠো ভাতের আশায় মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরতে। আমি সবাইকে বলে রাখছি আবার যদি কোলা এলাকায় তার দেখা মেলে তাহলে আমাকে জানাতে। তার জন্য কালীগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার সাথে বলে কিছু একটা ব্যবস্থা করা য়ায় কিনা আমি চেষ্ঠা করবো।