স্টাফ রিপোর্টার, ঝিনাইদহঃ ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ রোড়ের বিহারী মোড়ের একটি অটো পার্টসের দোকানে অভিনব পন্থায় দূধর্ষ ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। বুধবার রাত গভীর রাতে বিহারী মোড়ে নাইট গার্ডের হাত-পা.মুখ বেধে রুমি-সুমি এন্টারপ্রাইজ নামে একটি অটো পার্টসের দোকানে দূধর্ষ ডাকাতি হয়েছে। দোকান মালিক আক্তার হোসেন বলেন, রাতে ৭/৮ জনের একটি ডাকাত দল সাদা হায়েস মাইক্রোবাসে এসে বিহারী মোড়ের নাইটগার্ড রবিউল কে ডেকে মাইক্রোর কাছে আসতে বলে এবং বলে এই কাগজে লেখা ব্যক্তির বাসাটা কোথায় রবিউল প্রশাসনের লোক মনে করে লাইট মেরে মাইক্রোর ভিতরে উকি মেরে কাগজ পড়তে যায়। এ সময় ডাকাতরা নাইটগার্ড রবিউলকে জোরপূর্বক মাইক্রোর ভিতর তুলে নিয়ে হাত পা, মুখ বেধেঁ মাইক্রোর ভিতর ফেলে রাখে। রাত ১ টা ২৯ মিনিটে সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়, প্রথমে মাইক্রো থেকে ডাকাত দলের এক সদস্য নেমে এসে সিসি টিভির দিকে তাকিয়ে মাইক্রোর ভিতর থেকে কাটার মেশিন এনে বিদ্যুৎ সংযোগ বিছিন্ন করে সিসি টিভিসহ বিদ্যুৎ লাইন বন্ধ করে দেয়। এরপর দোকানের সাটারের ৫ টা তালা ভেঙে ভিতর থেকে ১২ সেট ব্যাটারী যার মূল্য ২ লক্ষ ৬৪ হাজার টাকা এবং দোকানে থাকা নগদ ৩৯ হাজার টাকা নিয়ে যায়। ডাকাতি শেষে ডাকাতরা মাইক্রোর ভিতরে থাকা নাইটগার্ড রবিউলকে হাত-পা ও মুখ বাধাঁ অবস্থায় ধাক্কা মেরে দোকানের ভিতর ফেলে রেখে সাটার বন্ধ করে চলে যায়। ডাকাত দলের মাইক্রো বাসটি কালীগঞ্জ মেইন বাসষ্ট্যান্ডে এসে তাদের দলের তিন সদস্যকে নামিয়ে দিয়ে যশোরের দিকে চলে যায় যেটা ষ্ট্যান্ডের একটি সিসি টিভি ফুটেজে দেখা যায়। পরে দোকানের ভিতরে নাইটগার্ডের চিৎকারে ঐ এলাকায় অন্যান্য নাইটগার্ড ও মার্কেট মালিক এসে নাইটগার্ড রবিউলকে উদ্ধার করে। ঘটনার রাতে কালীগঞ্জ মেইন ষ্ট্যান্ডেসহ কোটচাঁদপুর রোডে ডিউটি ছিল কালীগঞ্জ থানার এএসআই জহিরুল ইসলামসহ এক দল কনেষ্টবল। ডাকাতির বিষয়ে তিনি বলেন,আমি বিহারী মোড় এলাকায় রাত সাড়ে ১১ টার দিকে গিয়ে সমস্থ নাইট গার্ডদের ভালো করে ডিউটি করার জন্য বলে আসছি এবং আরো বলেছি অলিতে গলিতে মাঝে মধ্যে লাইট মেরে ডিউটি করবেন। এ ব্যাপারে দোকান মালিক আক্তার হোসেন কালীগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেছে। কালীগঞ্জ থানার পুলিশ রাতে ডিউটি না করে বাসষ্টান্ডে মাইক্রো নিয়ে ঘুমায়। আরসকাল হলে তারা থানায় চোলে যায়। কারীগঞ্জ বাসষ্টান্ডে যেখানে পুলিশ দাড়িয়ে থাকেসেখান থেকে মাত্র ১ হাজার গজ দুরে বিহারি মোড়।