জীবননগরে বৃষ্টির পানিতে ইটভাটার মাটিতে রাস্তার বেহাল দশা
নিউজ ডেস্ক:জীবননগরে বৃষ্টির পানিতে ইটভাটার মাটি রাস্তায় থাকায় ৩ পথচারী গুরুত্বর আহত হয়েছে। গতকাল শনিবার সকালে পৌরসভার নারায়ণপুরে এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আহত হয় গঙ্গাদাশপুর গ্রামের ফজলুর রহমানের ছেলে শাহিন কবির, হাবিবপুর গ্রামের জামিরুল ইসলাম এবং গঙ্গাদাশপুর গ্রামের মনিরুল ইসলামের ছেলে এসএসসি পরীক্ষার্থী রোকনুজ্জামান। স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার রাতে হালকা বৃষ্টির ফলে শিথিল ইটভাটার মাটি পিচ রাস্তার উপর থাকায় কাদার সৃষ্টি হয়। এই কাঁদার কারণে রাস্তা দিয়ে মোটরসাইকেল তো দুরে থাক হেটে চলাচল করতে ব্যাপক সমস্যায় পড়তে হয়। তাদের রাস্তা থেকে কাঁদা তুলে ফেলতে বলা সত্ত্বেও ইটভাটার মালিক কোন কথায় কর্ণপাত করে না। এদিকে গতকাল সকালে ইটভাটার সামনে কাদার কারণে পিছলে একটি প্রাইভেট গাড়ি খাদের মধ্যে পড়ে যায়। পরবর্তীতে গাড়িটি একটি ট্রাক্টরের সাহায্যে তোলা হয়। পরবর্তীতে জীবননগর বাজারে আসার জন্য কিছু পথচারী সাইকেল নিয়ে ভাটার সামনে পৌছালে সেখানে পিচলে কাঁদার মধ্যে পড়ে আহত হয়। সরেজমিনে দেখা গেছে, শিথিল ইটভাটায় মাটি কাটতে কাটতে মেইন রাস্তায় চলে এসেছে। যার ফলে রাস্তাটি যখন তখন ভেঙে পড়তে পারে। তথ্যনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু শিথিল ইটভাটা নয় জীবননগর উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়নের বেনীপুর ইটভাটার সামনেও একই অবস্থা ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে কাঁদার সৃষ্টি হয়েছে। যার ফলে রাস্তা দিয়ে যাতায়াত করতে চরপ বিপাকে পড়ছে সাধারণ পথচারীরা। তা ছাড়া সরকারিভাবে ইটভাটায় পরিবেশ বান্ধব গাছ পোড়ানো নিষেধ থাকা সত্বেও শিথিল ইটভাটা, বেনীপুরসহ বেশ কয়েকটি ইটভাটায় ফলজ, বনজ ও ঔষধী গাছ কেটে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে, যার ফলে একদিকে যেমন পরিবেশ ধ্বংস হচ্ছে অন্যদিকে পরিবেশ বান্ধব গাছ কেটে সাবাড় করে দেওয়া হচ্ছে। জীবননগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সিরাজুল ইসলাম জানান, যদি কোন ইটভাটার মাটি রাস্তায় পড়ে কাঁদার সৃষ্টি হয় তা হলে ইটভাটার মালিকের নিজ দায়িত্বে রাস্তার কাঁদা পরিস্কার করে দিতে হবে। তা না হলে ওই ইট ভাটার মালিকের বিরুদ্ধে আইনে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।