নিউজ ডেস্ক:
পারিবারিক কলহে রাজধানীর মালীবাগে ওহেদুল ইসলাম স্বপনকে (৬০) খুন করেন তার স্ত্রী।
এ বিষয়ে স্ত্রী মৌসুমী ইসলাম নাহার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিও দিয়েছেন বলে পুলিশ জানায়।
গতকাল শুক্রবার বিকেলে শাহজাহানপুর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুর রহমান বলেন, ‘এ দম্পতির মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল, যা নিয়ে দুজনের মধ্যে ক্ষোভ ছিল। এ ক্ষোভ থেকে ঘটনার দিন মৌসুমী ঘরে থাকা শিলপাটা দিয়ে স্বপনকে খুন করে। তাকে গ্রেপ্তারের পর রিমান্ডে নেওয়া হয়। একই সঙ্গে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে নিজের দোষও স্বীকার করেছে। এখন মামলার অন্য প্রক্রিয়া চলছে। এরপরই মৌসুমীকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দেওয়া হবে আদালতে।’
প্রতিবেশীদের সঙ্গে আলাপে জানা গেছে, মালীবাগ আবুজর গিফারি কলেজের পেছনে নিজ বাড়িতে ওহিদুল ইসলাম স্বপন সপরিবারে বসবাস করতেন। তাদের একটি ছেলে রয়েছে। স্বপন মাদকাসক্ত ছিলেন। এ নিয়ে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে দীর্ঘদিন ধরে দাম্পত্যকলহ চলছিল। মাদক সেবন নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় স্বপন ও মৌসুমীর। এ সময় তাদের মধ্যে প্রথমে হাতাহাতি হয়। পরে স্বপন তার স্ত্রী মৌসুমীকে শিলপাটা দিয়ে আঘাতের চেষ্টা করেন। মৌসুমী তার কাছ থেকে কেড়ে নিয়ে স্বপনকে মাথায় আঘাত করেন। এক পর্যায়ে স্বপন রুমের মেঝেতে পড়ে গেলে তার মাথায় আঘাত করে খুন করেন মৌসুমী।
উল্লেখ্য, গত ১৫ ফেব্রুয়ারির এ ঘটনার পর মৌসুমী আত্মগোপনে ছিলেন।