নান্দাইল (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি ঃ ময়মনসিংহের নান্দাইল উপজেলার পাছদরিল্লা গ্রামের দুল্লি বিল থেকে ৩রা মার্চ নান্দাইল মডেল থানা পুলিশ অজ্ঞাত এক নারীর ক্ষতবিক্ষত লাশ উদ্বার করে। পরে নান্দাইল উপজেলার পৌরসদরে বেওয়ারিশ হিসাবে লাশ দাফনের আড়াই মাস পর, মঙ্গলবার (২২ মার্চ) আদালতের নির্দেশে কবর থেকে লাশ উত্তোলন করা হয়। নান্দাইল উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাহমুদা আক্তার ও মডেল থানার উপপরিদর্শক মো. লিটনের উপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জ জেলার করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দাচুল্লি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার পুত্র সাইফুল তার মায়ের লাশ বাড়িতে নিয়ে যান। জানাযায়, এই অজ্ঞাত নারীই করিমগঞ্জ উপজেলার ইন্দারচুল্লি গ্রামের মৃত লাল মিয়ার স্ত্রী ও সাইফুলের মা খুর্শেদা আক্তার (৫৫)। খুর্শেদার চার ছেলে বাড়ির বাইরে কর্মস্থলে থাকে। কর্মস্থলের থাকা অবস্থায় তার মায়ের নিখোঁজ হওয়ার সংবাদ পেয়ে সাইফুল বাদী হয়ে গত ২২মার্চ কিশোরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করে। এরপর ২৫ মার্চ সাইফুল নান্দাইল মডেল থানায় সংরক্ষিত ছবি দেখে মাকে শনাক্ত করে। মায়ের লাশ ফেরত চেয়ে ১৫ই এপ্রিল সাইফুল আদালতে আবেদন করলে ২২মার্চ কবর থেকে লাশ উত্তোলন করে বুধবার সাইফুলের গ্রামের বাড়িতে পুনরায় লাশ দাফন করা হয়। কিশোরগঞ্জ থানায় দায়েরকৃত মামলা বিবরণে জানাযায়, জমি সংক্রান্ত বিরোধ মীমাংসার কথা বলে মহরম আলীর মাধ্যমে খুর্শেদাকে ডেকে নেন যশোদল ইউপি সদস্য মো. খোকন মিয়া। এরপর থেকে তাঁর মা নিখোঁজ হয়। নিহত খুর্শেদার পুত্র সাইফুল জানান, তাঁর মায়ের পৈতিৃক ১০ শতক জমি রয়েছে। সাইফুলের নানা সুরত আলী মারা যাওয়ার পর ওই সম্পত্তি মায়ের চাচাতো ভাইয়েরা ভোগ করছিল। সেই ১০শতক জমি উদ্বার করতে গিয়ে মার্চের শুরুতে তার মা নিখোঁজ হয়।