ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের মহেশপুর সীমান্ত থেকে ৮৮ লাখ টাকার সোনার বারসহ রাকিব হোসেন (২৩) নামে এক পাচারকারীকে আটক করেছে বিজিবি। আটক রাকিব হোসেন জীবননগর উপজেলার ধোপাখালি নতুনপাড়া গ্রামের আব্দুর রহমানের ছেলে। মঙ্গলবার সকাল নাড়ে ১০টার দিকে ৫৮ বিজিবির গয়াসপুর ক্যাম্পের টহল দল গোয়ালপাড়া নামক স্থান থেকে এই সোনা উদ্ধার করে। এক কেজি ৮’শ গ্রাম ওজনের উদ্ধারকৃত সোনার মধ্যে রয়েছে ৬টি সোনার বিস্কুট ও তিনটি সোনার বার। যার আনুমিানিক মুল্য ৮৮ লাখ টাকা। মঙ্গলবার বিকাল সাড়ে চারটার দিকে ঝিনাইদহের মহেশপুর উপজেলার খালিশপুর ৫৮ বিজিবির উপ-অধিনায়ক মেজর জসিম উদ্দীন এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য জানান। মেজর জসিম উদ্দীন প্রেস ব্রিফিংয়ে জানান, খালিশপুর ৫৮ বর্ডারগার্ড ব্যাটালিয়নের অধীনস্থ গয়াশপুর বিওপি’র টহলদল গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সীমান্ত পিলার ৬৮ থেকে এক কিলোমিটার বাংলাদেশের অভ্যন্তরে গোয়ালপাড়া এলাকায় অভিযান চালায়। এ সময় মাঠ সংলগ্ন এলাকা থেকে সোনা চোরাচালানকারী মোঃ রাকিব হোসেনকে ০৬ টি সোনার বিস্কুট, ০৩ টি বারসহ আটক করে। আটককৃত সোনার বাজার মুল্য ৮৮ লাখ টাকা বলে মেজর জসিম জানান। আটককৃত পাচারকারীকে জীবননগর থানায় সোপর্দ ও জব্দ সোনা দর্শনা শুল্ক অফিসে জমা দেওয়া হবে বলে বিজিবি সুত্রে বলা হয়েছে। উল্লেখ্য, ঝিনাইদহের কোটচাঁদপুর-জীবননগর সড়কটি এখন সোনা চোরাচালানের গেটওয়ে হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে। ইতিপর্বে মহেশপুরের পুরোন্দরপুর এলাকা থেকে ১২ কেজি সোনার বার ডাকাতির ঘটনা ঘটে। সোনারতরি নামে একটি পরিবহন থেকে এই সোনা ডাকাহি হয়। এ নিয়ে মহেশপুর থানার ওসি আহম্মেদ কবীরসহ ৯ পুলিশ ক্লোজড হন। পুলিশ প্রশাসনে তোলপাড় সৃষ্টি হয়। পুলিশ কোটচাঁদপুর থেকে ৩ কেজির কিছু বেশি সোনা উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ৩ জনকে গ্রেফতরাও করা হয়। কিন্তু পর্দার আড়ালের খবর ভিন্ন। ৯ কেজি সোনা ভাগাভাগী হয়েছে এমন কথাও এখনো প্রচার আছে, কিন্তু কোন মহলই এ খবরের সত্যতা স্বীকার করেনি। অন্যদিকে ঝিনাইদহ শহরের উপ-শহরপাড়ার একটি ছাত্রাবাস থেকে গ্রেফতার করা হয় ফয়সালকে। তার কাছ থেকেও সোনা উদ্ধার হয় এমন কথা প্রচার হয়ে পড়ে। এই গুজবের মধ্যেই একযোগে বদলী হয় ডিবি পুলিশের একটি টিম। দুই বছর আগে কোটচাঁদপুর উপজেলায়ও সোনার বার উদ্ধারের ঘটনা ঘটে। এতে প্রমানিত হয় ওই সড়কটি এখন সোনা চোরাচালানের রুট হিসেবে ব্যবহৃত হচ্ছে।