নিউজ ডেস্ক:সেই ছোটবেলা থেকেই এতিম ও অসহায় রেজাউল ইসলাম (৩৪)। বয়স যখন তাঁর পাঁচ, তখন দুই-তিন বছরের ব্যবধানে মা ও বাবাকে হারিয়ে এতিম হয়ে পড়েন তিনি। দুনিয়ায় একমাত্র বোন ছাড়া আর কেউ নেই তাঁর। মাতৃ-পিতৃহীন রেজাউল শিশু বয়স থেকেই সংগ্রাম করে বেড়ে ওঠেন। সেই সংগ্রাম ছিল দিনমজুর বা পরের বাড়িতে কাজ করা। এভাবেই কাটছিল তাঁর দিন। তবু স্ত্রী, এক ছেলে ও দুই মেয়ে নিয়ে সুখের সংসার পেতেছিলেন তিনি। কিন্তু এখন তিনি অচলপ্রায়। মাত্র ৩৪ বছর বয়সে হার্টে দুইটি ব্লক ধরা পড়েছে। কিন্তু চিকিৎসা করাতে পারছেন না। দিনমজুরি করে কি আর হার্টের রিং লাগান যায়!
এই হলো ঝিনাইদহ জেলার কোটচাঁদপুর উপজেলার দোড়া ইউনিয়নের ধোপাবিলা গ্রামের রেজাউলের কথা। তিনি ধোপাবিলা গ্রামের মৃত মসলেম মিয়ার ছেলে। যার পদচিহ্ন ছিল ধোপাবিলা গ্রামের মাঠ আর প্রান্তরজুড়ে, সেই মানুষটি এখন শীর্ণকায়, অচল-অসাড় হয়ে বিছানায় গড়াগড়ি খাচ্ছেন। এখন সামনে তাঁর একটি ধাপ খোলা, সেটা মৃত্যু! চিকিৎসকেরা বলছেন, দ্রুত তাঁর হার্টে রিং লাগাতে হবে। কিন্তু টাকা নেই। আত্মীয়-স্বজনেরাও সব দরিদ্র। সমাজ ও রাষ্ট্রের বিত্তবান ব্যক্তিরা যদি তাঁদের হাত মহানুভবতার সঙ্গে প্রসারিত করেন, তবেই রেজাউল নতুন জীবন পেতে পারেন, তা না হলে তাঁর তিনটি শিশুসন্তান আর স্ত্রী অসহায় হয়ে পড়বেন। আপনাদের দেওয়া মাত্র দুই লাখ টাকায় রেজাউল পেতে পারেন নতুন জীবন। বর্তমানে রেজাউল ঝিনাইদহ শহরের ইসলামী ব্যাংক কমিউনিটি হাসপাতালের দ্বিতীয় তলার ৫ নম্বর বেডে ভর্তি আছেন। রেজাউল ইসলামের সঙ্গে যোগাযোগের মুঠোফোন নম্বর ০১৭৬৭২০০৩৯৯ (বোন) এবং বিকাশে সহায়তার জন্য ০১৭২৪৭০৮৮০৯ (পার্সোনাল)।