রিপোর্ট: ইমাম বিমান: একুশের চেতনায় সাংবাদিকদের ঐক্যবদ্ধ হতে হবে বলে মনে করেন বিএমএসএফ নেতৃবৃন্দ। মহান শহীদ দিবস এ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ২১ ফেব্রুয়ারী ভোর ৬টায় প্রভাত ফেরিতে শহীদদের প্রতি শ্রোদ্ধা জানাতে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুস্পার্ঘ অর্পন শেষে এক বিবৃতিতে ” বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ” বিএমএসএফ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারন সম্পাদক আহমেদ আবু জাফর বলেন, আজ মহীদদরে প্রতি শ্রোদ্বা রেখে দেশের সকল সাংবাদিকদেক ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানাচ্ছি সেই সাথে দেশে সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ তাই আসুন দেশের অন্যতম জাতীয় সাংবাদিক সংগঠন ” বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম ” বিএমএসএফ’র সাথে ঐক্যবদ্ধ হয়ে দেশে সাংবাদিক নির্যাতন, নিপিড়ন বন্ধে এক সাথে কাজ করার আহবান জানান।
এ সময় তিনি আরো বলেন, দেশে ক্রমাগত সাংবাদিক নির্যাতন-হয়রাণী, সাংবাদিক হত্যার বিচার না হওয়ায় দেশে সাংবাদিক নির্যাতন নিধন এখন সংস্কৃতি রুপ ধারন করেছে। স্বাধীনতা পরবর্তীকালে এ পর্যন্ত প্রায় ৩০ জন সাংবাদিক হত্যার শিকার হয়েছেন। হাতেগোনা দু-তিন জন সাংবাদিক হত্যার বিচার হলেও আজও পর্যন্ত সাংবাদিক দম্পতি সাগর-রুনি হত্যা, রংপুর বিএমএসএফ’র সদস্য সচিব মশিউর রহমান উৎস হত্যার ৩ বছরেও মেলেনি চার্জশীট। দেশে সাংবাদিক হত্যার বিচার নেই, এই সংস্কৃতি থেকে সাংবাদিকদের বের হয়ে আসতে জাতীয় ঐক্যের প্রয়োজন। দেশে সাংবাদিকদের কোনঠাসা করে রাখতে একটি চক্র সরকারকে ভুল বুঝিয়ে ৩২ ধারা আইনটি পাসে ঈন্ধন যোগাচ্ছে। আইনটি খসড়ার আগে সাংবাদিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের সাথে মতামত নেয়া উচিত ছিল। আইনটি পাস না করার জন্য বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির নেতৃত্বে বিভিন্ন জেলা ও উপজেলা থেকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নিকট স্মারকলিপি পাঠানো হয়েছে।
বিবৃতিতে আরো বলা হয়েছে, সাংবাদিক নিপিড়নকারী ৫৭ ধারা বাতিল করে আরো বেশি বিষাক্ত ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ২০১৮ এর ৩২ ধারা আইনটি সংসদে পাস করার প্রক্রিয়া চলছে। বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম (বিএমএসএফ) সরকারের উদ্দেশ্যে বলতে চায় যারা ৫৭ বাতিল করে ৩২ ধারা চালুর চিন্তা সরকারকে দেখাচ্ছেন তারা সরকারের মঙ্গল চায়না বলে আমি মনে করি। কারন, দেশে সকল শ্রেনীপেশার লোকই সরকার থেকে বেতন-ভাতা নিচ্ছেন। কিন্তু দেশের ৪র্থ স্তম্ভে থাকা সাংবাদিক তথা সাংবাদিকরা সরকারী বেতন-ভাতা না পেলেও তারা নিজের খেয়ে নিজের পড়ে দেশ পরিচালনার ক্ষেত্রে গনমাধ্যমের মাধ্যমে সরকারকে সহযোগীতা করে যাচ্ছে। খামাখা তাদেরকে কোনঠাসা করে যাতাকলে পিষে কন্ঠরোধ করতে দূনীতিবাজরাই তৎপরতা দেখাচ্ছে। যাতে ওই সকল দূর্ণীতিবাজরা আরো বেশি দূর্নীতি করে ব্যক্তিস্বার্থ হাসিল করা সহ দেশে-বিদেশে সরকারের ইমেজ নষ্ট হওয়ার অপচেষ্টা করছে। তারা সরকারকে বেকায়দায় ফেলতে সাংবাদিক সরকার মুখোমুখি করে দেশে অরাজকতা সৃষ্টির প্রায়াস চালাচ্ছে। দেশে প্রায়শই সাংবাদিকরা সাইবার ক্রাইমের শিকার হচ্ছেন তাই সাংবাদিকদের জন্য এ আইনটি খুবই প্রয়োজন। তাই আমরা বলতে চাই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ৩২ ধারা আইনটির ধারা-উপধারা যেভাবে করা হচ্ছে যা শুধু সাংবাদিকদেরকেই বেশি ক্ষতিগ্রস্থ করবে। আইনটির বেড়াজালে সাংবাদিকরা দূর্নীতি অনিয়ম সহ নানা খবর আনতে গেলে সংশ্লিষ্ট দূর্ণীতিবাজের কাছ থেকে অনুমতি নিতে হবে, নইলে গুপ্তচর হবেন সাংবাদিক! চক্রটি সাংবাদিকদের ওপর ৩২ ধারার খড়গ চাপিয়ে সরকার এবং গণমাধ্যমেকে মূখোমূখি করতে চাচ্ছে। সাংবাদিকরা আশাবাদি আইনটি পাসের আগে দেশে সাংবাদিক সংগঠন প্রধানদের মতামত নিয়েই ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনটি সংসদে পাস হবে।
এ সময় বিএমএসএফ’র কেন্দ্রীয় কমিটির আইন উপদেষ্টা এ্যাডভোকেট কাওসার হোসাইন, ঢাকা জেলা কমিটির আহবায়ক আবুল কালাম আজাদ, উপদেষ্টা কলিম এম জায়েদী, যুগ্ম-আহবায়ক নাজমা সুলতানা নীলা, যুগ্ম-আহবায়ক জালাল উদ্দিন জুয়েল, রেজাউল করিম ও লোকমান হোসেন, সদস্য ইভা খন্দকার, বৃহত্তর মিরপুর কমিটির যুগ্ম-আহবায়ক আলিয়ার রাফি, সদস্য সচিব মঈন উদ্দিন আহমেদ প্রমুখ। এদিকে সংগঠনের উদ্যোগে শরীয়তপুর, ঝালকাঠি, মাদারীপুর, গাইবান্ধা, ময়মনসিংহ, নান্দাইল, বিবাড়িয়া, ফেনী, ছাগলনাইয়া, লক্ষ্মীপুর, কমলনগর, নলছিটি, রাজাপুর, বাকেরগঞ্জ, সারিয়াকান্দি, পাইকগাছাসহ বাংলাদেশের বিভিন্ন জেলা উপজেলা কমিটি যথাযোগ্য মর্যাদার সাথে দিবসটি উদযাপন করেন।