নিউজ ডেস্ক:
ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি হিসেবে পোস্ট ডেটেড বা আনডেটেড ব্ল্যাংক চেক রেখে পরবর্তী সময়ে ওই চেক ডিজঅনার করিয়ে নেগোশিয়েবল অ্যাক্টের ১৩৮ ধারায় মামলা করা কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার বিচারপতি তারিক-উল হাকিম ও বিচারপতি মো. ফারুকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন সচিব, বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর, চট্টগ্রামের চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটসহ সংশ্লিষ্টদের রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। তার সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট রাফসান আলভী ও অ্যাডভোকেট ইশরাত হাসান।
রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল আমাতুল করিম ও সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ফজলে রাব্বী খান।
আমাতুল করিম বলেন, নেগোশিয়েবল অ্যাক্টের ১৩৮ ধারা চেক ডিজঅনারের শাস্তির বিধান। আইন অনুসারে এক বছরের কারাদণ্ড এবং চেকে বর্ণিত অংকের তিন গুণ পর্যন্ত জরিমানা হতে পারে।
রিটকারী আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, আইএফআইসি ব্যাংকের চট্টগ্রামের শেখ মুজিব রোড শাখা থেকে নাহার ইলেকট্রিক্যাল ও ইলেকট্রনিক প্রাইভেট লিমিটেড জমি বন্ধক দিয়ে ঋণ গ্রহণ করে। এর পাশাপাশি ব্যাংক কোম্পানির কাছ থেকে সিকিউরিটি হিসেবে চেক নেয়। কিন্তু ব্যবসায়ী লোকসানের কারণে যথাসময়ে ঋণ পরিশোধ না করায় ব্যাংক কর্তৃপক্ষ উক্ত চেক ডিজঅনার দেখিয়ে কোম্পানির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলাটি বর্তমানে চট্টগ্রামের মেট্রোপলিটন আমলি আদালত-৩ এ বিচারাধীন আছে।
এ অবস্থায় ব্যাংক থেকে ঋণ নেওয়ার ক্ষেত্রে সিকিউরিটি হিসেবে পোস্ট ডেটেড বা আনডেটেড ব্ল্যাংক চেক রাখার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাইকোর্টে রিট করেন উক্ত কোম্পানির ব্যবস্থাপনা পরিচালক এ কে এম মনজুরুল আলম। সেই রিটের শুনানি নিয়ে আজ আজ রুল জারি করেন আদালত।
আইনজীবী ইশরাত হাসান বলেন, ব্যাংকগুলো গ্রাহকদের কাছ ব্ল্যাংক চেক রেখে পরবর্তীতে চেক ডিজঅনারের মামলা করে। এতে গ্রাহকরা হয়রানির শিকার হন।