নিউজ ডেস্ক:
কোরীয় উপদ্বীপের ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার কারণে পারমাণবিক যুদ্ধের আশঙ্কায় উদ্বিগ্ন গোটা বিশ্ব। উত্তর কোরিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রে একের পর এক হুমকি-ধামকিই এই উদ্বিগ্নের পারদকে বাড়িয়ে দিয়েছে বহুগুণ।
এমন প্রেক্ষাপটে ২০১৭ সালে ‘গ্লোবাল ফায়ার পাওয়ার (জিএফপি) বিশ্বের ১২৬ টি দেশকে নিয়ে প্রকাশ করেছে বৈশ্বিক সামরিক ক্ষমতার সূচক। যেখানে সবার শীর্ষে আছে যুক্তরাষ্ট্র আর উত্তর কোরিয়ার অবস্থান ২৩তম। নিচে জিএফপির তথ্যের ভিত্তিতে উত্তর কোরিয়ার হাতে থাকা মরণাস্ত্রের তথ্য উপস্থাপন করা হলো-
পরমাণু অস্ত্র:
কিম জং উনের দেশ ২০০৬ সালে সর্ব প্রথম পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালায়। এরপর হাইড্রোজেন বোমা , ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র, নিউক্লিয়ার ওয়ার হেডসহ কয়েক দফা ক্ষেপণাস্ত্রের পরীক্ষা চালিয়েছে দেশটি।
২০১৬ সালে স্টকহোম ইন্টারন্যাশনাল পিস রিসার্চ ইনস্টিটিউট জানায় উত্তর কোরিয়ার হাতে আনুমানিক ৬-৮টি নিউক্লিয়ার ওয়েপনস রয়েছে। এর মধ্যে ১৬০ কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম থেকে শুরু করে ৪ হাজার কিলোমিটার দূরে আঘাত হানতে সক্ষম ক্ষেপণাস্ত্র রয়েছে। যেগুলোর মধ্যে তবে উত্তর কোরিয়ার হাতে প্রকৃতপক্ষে ঠিক কতটি মরণাস্ত্র আছে তা এখনো অজানা।
উত্তর কোরিয়ার এ পর্যন্ত সফল পরীক্ষা চালানো কিছু পারমাণবিক অস্ত্রের নাম দেওয়া হলো- কেএন ১, কেএন২, হাউসঙ -৫, হাউসঙ-৬, হাউসঙ-৭, রোডং-১ হাউসঙ-১০ এবং পোক্কুকুসঙ-১ ইত্যাদি।
স্থল শক্তি:
উত্তর কোরিয়ার সামরিক বাহিনীতে বিভিন্ন ধরনের ট্যাঙ্ক রয়েছে, মেইন ব্যাটল ট্যাঙ্ক, লাইট ট্যাঙ্কস, ট্যাঙ্ক ডেস্ট্রয়ার ইত্যাদি। যার মধ্যে ট্যাঙ্ক সংখ্যা ৫ হাজার ২৫টি। সাজোয়া যুদ্ধযান (এএফভি’স) ৪ হাজার ১০০টি। টাওয়াড আর্টিলারি ২ হাজার ২৫০টি ও মাল্টিপল লঞ্চ রকেট সিস্টেম ২ হাজার ৪০০টি।
বিমান শক্তি:
উত্তর কোরিয়ার বিমান বাহিনীতে রয়েছে বেশ কিছু যুদ্ধ বিমান এর মধ্যে এয়ার ক্রাফট সংখ্যা ৯৯৪, ফাইটার ৪৫৮, ফিক্সড উইং এয়ারক্রাফট ৫৭২, ট্রাস্টপোর্ট এয়ার ক্রাফট ১০০টি, ট্রেইনার এয়ারক্রাফট ১৬৯টি, হেলিকপ্টার ২০২টি এবং অ্যাটাক হেলিকপ্টার ২০টি।
নৌ-শক্তি:
কিম জং উনের নৌ-বাহিনীতে হেলিকপ্টার ক্যারিয়ার ও সাবমেরিনসহ মোট ৯৬৭ মরণাস্ত্র রয়েছে। এর মধ্যে ফ্রিগেটস সংখ্যা ১১,করভেট্টেস ২টি, সাবমেরিন ৭৬টি। কোস্টাল ডিফেন্স ক্রাফট ৪৩৮টি এবং মাইন ওয়ারফেয়ার ২৫টি।
সৈন্যবাহিনী:
উত্তর কোরিয়ার ২ কোটি ৫১ লাখ ১৫ হাজার ৩১১ জন নাগরিকের মধ্যে সামরিক বাহিনীর প্রশিক্ষণ প্রাপ্তদের সংখ্যা ১ কোটি ৩০ লাখ। আর যুদ্ধে অংশ নেওয়ার জন্য প্রস্তুত সক্রিয় সৈন্য সংখ্যা হচ্ছে ১ কোটি ১ লাখ। যেখানে প্রতিবছর দেশটির সামরিক বাহিনীতে ৪ লাখ ১৫ হাজার সৈন্য যুক্ত হয়। এছাড়া তাদের সম্মুখ সমরের জন্য ৭ লাখ সেনা সদা প্রস্তুত রয়েছে। আর রিজার্ভ ফোর্সে আছে ৪৫ লাখ সেনা।
জিএফপি ইনডেক্স ও উইকিপিডিয়া অবলম্বনে