জিয়াবুল হক, কক্সবাজার:
কোয়ারেন্টিন না মেনে যথারীতি রোহিঙ্গা শিবিরের অফিসিয়াল কাজ করার দায়ে ফ্রেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর দুই কর্মকর্তাকে জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেওয়া হয়েছে। ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার বিকালে কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনার মাধ্যমে এ অর্থদণ্ডাদেশ প্রদান করেন।
ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্দেশে জরিমানার টাকা সাথে সাথে আদায়ও করা হয়েছে। ইউএনও জানান, সেই সাথে এনজিওটির দুই কর্মকর্তাদ্বয়কে কোয়ারেন্টিনে পাঠানো ছাড়াও এনজিও অফিসটিও লকডাউন করা হয়েছে।
এবিষয়ে উখিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্জিনা আকতার বলেন, কক্সবাজার জেলাকে লকডাউন ঘোষণা করার পরেও রোহিঙ্গা ক্যাম্পে কর্মরত এনজিওগুলো নিয়েই আমাদের যতসব মাথাব্যথা। স্থানীয় লোকজনের চেয়ে এনজিওকর্মীরাই সবচেয়ে বেশি বেপরোয়া। তারা প্রচলিত আইন লঙ্ঘন করে চলেছেনই।
থানার ওসি বলেন, উখিয়া উপজেলার কয়েকটি স্টেশনে রয়েছে রোহিঙ্গায় কর্মরত এনজিওগুলোর ভুরি ভুরি অফিস। এসব অফিসে দেশের নানা প্রান্তের হাজার হাজার কর্মী কর্মরত। প্রতিনিয়ত এনজিওকর্মীরা এনজিও অফিসগুলোতে আসা-যাওয়া করছেন। এসব কর্মীরা করোনা পরিস্থিতিতে ঘোষিত লকডাউনকেই রীতিমতো বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে আসছেন।
এব্যাপারে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. নিকারুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ফ্রেন্ডশিপ নামের একটি এনজিওর দুই কর্মকর্তার একজন রাজধানী ঢাকা ও অপরজন ঠাকুরগাঁও থেকে এসে প্রতিনিয়ত অফিসের কাজকর্ম করা শুরু করেন। তারা ২৮ এপ্রিল মঙ্গলবার ভোরে এলাকায় পৌঁছে কোটবাজার নামক এলাকার অফিসে কাজ করাকালীন ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা পরিচালনা করে।
ইউএনও জানান, এই দুই এনজিও কর্মকর্তা কোনো কোয়ারেন্টিনে না থেকে যথারীতি সামাজিক যোগাযোগ উপেক্ষা করেই কাজ করার দায়ে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। অর্থদণ্ডের টাকাও সাথে সাথে আদায় করা হয়েছে। তিনি বলেন, এর মধ্যে উখিয়ায় এক নারীসহ দুজন করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।