চুয়াডাঙ্গায় আরও তিন রোগী শনাক্ত, প্রতিদিনই বাড়ছে আক্রান্তের সংখ্যা
নিউজ ডেস্ক:চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন বাড়ছে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। ডেঙ্গু নিয়ে গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত আরও তিনজন ভর্তি হয়েছেন। এ নিয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিতে আসা মোট রোগীর সংখ্যা দাঁড়াল ১০ জন। গতকাল মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের ডেঙ্গু জোন পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ও চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. এ এস এম মারুফ হাসান। এ সময় তিনি ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত সব রোগীর শারীরিক অবস্থা ও রোগীদের পরীক্ষা-নিরীক্ষার সব কাগজপত্র পর্যবেক্ষণ করেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের সিনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজিস্ট) ডা. পরিতোষ কুমার ঘোস, জুনিয়র কনসালট্যান্ট (কার্ডিওলজিস্ট) ডা. আবুল হোসেন, জুনিয়র সার্জারি কনসালট্যান্ট ডা. এহসানুল হক তন্ময়সহ ওয়ার্ডের নার্সরা।
হাসপাতালের তথ্যমতে, ২৭ জুলাই এ বছর প্রথম চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ৩ জন ডেঙ্গু রোগী শনাক্ত করা হয়। ২৮ জুলাই ২ জন, ২৯ জুলাই সোমবার বিকেলে ২ জন এবং সর্বশেষ গতকাল মঙ্গলবার আরও ৩ জন রোগী ডেঙ্গু নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। গতকাল ডেঙ্গু আক্রান্ত ব্যক্তিরা হলেন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার শঙ্করচন্দ্র ইউনিয়নের সরোজগঞ্জ পুরাতন ভান্ডার দোয়ার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নয়ন (১৮), দামুড়হুদা উপজেলার জুড়ানপুর ইউনিয়নের মাঠপাড়ার বসির উদ্দীনের ছেলে মিঠু রহমান (৪০) ও দামুড়হুদা উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের হাজি মো. রমজান আলীর স্ত্রী ইসমত আরা (৫০)।
জানা যায়, গতকাল হাসপাতালে ভর্তি হওয়া নয়ন, মিঠু রহমান ও ইসমত আরা প্রত্যেকেই ঢাকায় অবস্থানকালে জ্বরে আক্রান্ত হন। এ সময় তাঁদের নিজ বাসস্থান চুয়াডাঙ্গায় ফিরিয়ে আনা হয় এবং চিকিৎসকের পরামর্শে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করালে তাঁদের শরীরে ডেঙ্গু শনাক্ত হয়। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে এখন পর্যন্ত চিকিৎসা নেওয়া ১০ জন ডেঙ্গু রোগীই ঢাকা থেকে ডেঙ্গু ভাইরাস নিয়ে এসে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
চুয়াডাঙ্গার সিভিল সার্জন ডা. এ এস এস মারুফ হাসান জানান, সামনে ঈদ আর ঈদে ঢাকা থেকে শত শত মানুষ ফিরবেন চুয়াডাঙ্গাতে। হয়তো তাঁরা শরীরে বহন করে আনবেন ডেঙ্গু ভাইরাস। এ সময় হাসপাতালে ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা কয়েক গুণ বাড়বে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এ সময়ে রোগীদের পর্যাপ্ত সেবা দিতে হাসপাতাল প্রস্তুত থাকবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য হাসপাতালের পুরুষ ও সার্জারি ওয়ার্ডের ১ ও ৪ নম্বর কেবিন, কেবিনের বারান্দা ও ওয়ার্ডের বারান্দাতে ১০ শয্যাবিশিষ্ট ডেঙ্গু জোন নির্ধারণ করা হয়েছে। শিগগিরই এর শয্যা সংখ্যা বাড়িয়ে ২০ শয্যাই উন্নীত করা হবে। তিনি আারও জানান, ডেঙ্গু ভাইরাসজনিত রোগী পর্যাপ্ত চিকিৎসা পেলে দুই-তিন দিনেই সুস্থ হয়ে ওঠে। চিকিৎসাধীন কোনো রোগীর ২৪ ঘণ্টা ও এর বেশি সময় যদি জ্বর না আসে, তবে তাকে হাসপাতাল থেকে ছুটি দেওয়া হবে। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত রোগীদের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষা, ওষুধ ও থাকার ব্যবস্থা করা হয়েছে।